মেসির পর এবার রোলানদোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আয়কর ফাঁকির হিসাব রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার স্পেনের মাদ্রিদে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ইউরো কর ফাঁকির দায়ে সিআর সেভেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক সরকারী কর্মকর্তা।
এতে দেখা যায় মেসির তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি কর ফাঁকি দিয়েছেন রোনালদো! মেসির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ ছিল ৪১ লাখ ইউরোর। আর রোনালদোর কর ফাঁকির অভিযোগটা ১ কোটি ১৪ লক্ষ ইউরোর। যেহেতু মেসির চেয়ে রোনালদোর কর ফাঁকি দিয়েছে, তাই অভিযোগ প্রমাণিত হলে রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরার শাস্তিটাও হতে পারে বড়।
স্পেনের আইন অনুসারে ২ বছরের কম শাস্তি হলে দণ্ডপ্রাপ্তদের হাজতবাস করতে হয় না। এজন্যই বেঁচে যান মেসি। জেলে যেতে না হলেও ফর ফাঁকির মামলায় মেসির ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। রোনালদোর ভাবমূর্তিতেও পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। ২ বছরের বেশি শাস্তি হলে রোনালদোকে যেতে হতে পারে জেলেও।
এর আগে রোনালদোর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় স্প্যানিশ সরকারী কর্মকর্তা জানান, ২০১০ থেকে নিজের এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু থেকে যে টাকা পান স্পেনের সরকারের কাছে সেই সম্পর্কিত নথি গোপন করেছেন রোনালদো। এ বিষয়ে এখনো কোনো রকম প্রতিক্রিয়া জানাননি পর্তুগিজ সুপারস্টার।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৭ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন। উরুগুয়েতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেই অর্থ বিনিয়োগ করেন মেসি! মিডিয়ায় এমন খরব প্রকাশিত হলে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। কর ফাঁকির অভিযোগে মেসিকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন বার্সেলোনার আদালত।