রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের নামাজ সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্ধারিত জায়গায়ই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ঢাকা দক্ষিণে জাতীয় ঈদগাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠসহ ২৩০টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডের ১৮০টিসহ মোট ৪১০ স্থানে ঈদ জামাত হবে বলে জানা যায়।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪টি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ার্ডের সবচেয়ে পরিচিত ও জনবহুল জায়গায় হবে এসব জামাত। কোথাও সিটি করপোরেশনের মাঠ, কোথাও স্কুলের মাঠ, কোথায় মসজিদ, মাদ্রাসার মাঠকে জামাতের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রতি ওয়ার্ডে ৫টি করে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার এলাকার ঈদ জামাত সুষ্ঠুভাবে যেন হয় সে ব্যবস্থা করতে। এবার বর্ষা মৌসুমে ঈদ হওয়ায় মুসলি্লরা যেন নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য বিশেষ শামিয়ানার ব্যবস্থা থাকছে।
রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ। নারীদের জন্য থাকবে আলাদা জায়গা। জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে ১ লাখ মুসলি্লর নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঈদগাহ প্রস্তুত করতে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে ডিএসসিসি।গত ১৫ জুন নগর ভবনে আয়োজিত এক সমন্বয় সভা শেষে মেয়র বলেন, ‘জাতীয় ঈদগায় দেশের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে যে মুসলি্লরা আসবেন আমরা তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
‘এ জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং র্্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সিসি ক্যামেরাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু রাখা হবে।’সভায় জানানো হয়, জাতীয় ঈদগার প্রধান জামাতে ৮৪ হাজার মুসলি্ল নামাজ পড়তে পারবেন। পাঁচ হাজার নারীও ঈদের নামাজ পড়তে পারবেন।
চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সভা শেষে মেয়র জানান, মুসলি্লদের অজু করার ব্যবস্থা থাকবে। তাদের জন্য মোবাইল টয়লেট রাখা হবে। মুসলি্লদের চিকিৎসা সেবা দিতে অ্যাম্বুলেন্সসহ একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে। গাড়ি নিয়ে আসা মুসলি্লদের গাড়ি রাখার জায়গার ব্যবস্থা থাকবে।এছাড়া প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে মেয়র জানান।
২৭ রমজানের মধ্যে শামিয়ানা টাঙানোসহ অধিকাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান ডিএসসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হাসেম। তিনি বলেন, এবার যেহেতু বর্ষা মৌসুমে ঈদ জামাত হবে, তাই বৃষ্টি হলেও যেন মুসলি্লরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন সে কথা মাথায় রেখে ঈদগাহ প্রস্তুত করা হচ্ছে। নামাজ আদায় করার সঙ্গে সঙ্গে মুসলি্লরা যাতে দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারেন সেজন্য একাধিক গেট থাকবে। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি, ২৭ রমজানের মধ্যে প্রায় শেষ হয়ে যাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঈদ জামাত প্রসঙ্গে ডিএনসিসির সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন বলেন, আমাদের ৩৬টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই ৫টি করে স্থানে জামাত হবে। কাউন্সিলররা নিজ উদ্যোগে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মুসলি্লরা যাতে অল্প দূরত্বের মধ্যেই নামাজ আদায় করতে পারেন সেভাবেই স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।