এলএনজি আমদানিতে ইতোমধ্যে বার্ষিক সরবরাহ কর্মসূচি (এডিপি) এবং কার্গো সময়সূচি ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। কর্মসূচিতে চলতি বছর কাতার এবং ওমান থেকে আরও ১৮ বার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) দেশে আসবে। পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানা যায়। এদিকে, পাইপ লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় এরই মধ্যে দেশে আসা প্রথম এলএনজি’র চালান এখনো সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, সমুদ্রপথে এ তরলীকৃত গ্যাস আমদানির পর ফের গ্যাসে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে হবে। এলএনজি দেশে একটি নতুন জ্বালানি। তাই নির্ধারিত সময়ে এ গ্যাস আমদানি এবং গ্রিডে জোগান দিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যেন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য এডিপি তৈরি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি ও সময়সূচি অনুমোদন করেছে। এ সময়ে কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্থাপিত ভাসমান টার্মিনালে (এফএসআরইউ) ১৮টি কার্গো আসবে। এর মধ্যে কাতার থেকে ১৫টি এবং ওমান থেকে ৩টি কার্গো আসবে। ওই কার্গো থেকে এফএসআরইউতে এলএনজি খালাস করা হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট ক্ষমতার এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করছে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি। এ টার্মিনালের মালিকানায় আছে পেট্রোবাংলা আর ঠিকাদার কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। এলএনজি প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করছে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল)।
সরকার প্রতিবছর ১৮ থেকে ২৫ লাখ টন এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে কাতারের রাসগ্যাসের সঙ্গে ইতোমধ্যে একটি ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি সই করেছে। ১০ বছর মেয়াদে এলএনজি সরবরাহ করবে ওমানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ওটিআই। এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল চালু হওয়া সাপেক্ষে বছরে ৫ লাখ টন এবং সামিটের টার্মিনাল চালু হওয়া সাপেক্ষে আরও বার্ষিক ৫ লাখ টন এলএনজি বাংলাদেশে বিক্রি করবে ওমানের ওটিআই। এলএনজির আন্তর্জাতিক দরের তিন মাসের গড় দরে কেনাকালীন এলএনজির মূল্য নির্ধারিত হবে।