চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের প্রথম ধাপে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হবে। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত আগামী বছরের জুলাই মাসে এবং তৃতীয় বা শেষ ধাপ মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। পরিদর্শনকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের পরিচালক এএইচ এম শাখাওয়াত আকতার এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাকসিথ সোয়ানাগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী আরও জানান, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হলে উড়াল সড়কটির আংশিক শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত প্রথম ধাপের অগ্রগতি শতকরা ৫০ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ২০ ভাগ। ১ হাজার ৩০৪টি পাইল, ২৮০টি পাইল ক্যাপ, ৬২টি ক্রস-বিম, কলাম ১৬৩টি (সম্পূর্ণ) ও ৮৪টি (আংশিক) এবং ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া দুটি স্প্যান আই গার্ডার স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে।