আইএইএ’র ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সংস্থাটি অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ‘আইএইএ কারিগরি সহযোগিতা কর্মসূচির ৬০ বছর পেরিয়ে : উন্নয়নে অবদান’ শীর্ষক তিন দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
এসডিজি বাস্তবায়নে বিশেষ করে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় আইএইএ’র প্রয়াস জোরদারে গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে সক্ষমতা গড়ে তোলা ও প্রযুক্তি স্থানান্তর খুবই প্রয়োজন।’ প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে আইএইএ ও অন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের কাজ করা ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি কারিগরি সহযোগিতার জন্য সংস্থাটির সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
আইএইএ’র মহা পরিচালক ইউকিয়া আমানো, মরিশাসের প্রেসিডেন্ট আমেনাহ গারিব-ফাকিম উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট তাবেরে ভাজকুয়েজ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
শেখ হাসিনা শান্তি ও উন্নয়নে পরমাণুর ব্যবহার নিশ্চিত করতে ৬০ বছরের অব্যাহত প্রয়াসের জন্য আইএইএ’র ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বিগত ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে সমর্থন দেয়াওর জন্যও সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্র (এইআরসি) ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা, রেডিয়োআইসোটপ উৎপাদন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নানা আবিষ্কার বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের পাটের জেনেটিক কোডের পাঠোদ্ধার একটি বিরাট সাফল্য ও জ্ঞানের চর্চা ও বিনিময়ের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ‘সায়েন্স ডিপ্লোম্যাসি’ গ্রহণ করেছে।’’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের জন্য আমাদের লক্ষ্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনার পরিপূর্ণ ব্যবহার।’
২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতের সমস্যা সমাধানের ওপর জোর গুরুত্ব দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আইএইএ’র সঙ্গে চমৎকার সহযোগিতা উপভোগ করছে। কারিগরি সহযোগিতায় প্রায় ১৩৮টি জাতীয় প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রিজিওনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিমেন্টের (আরসিএ) অধীনে ১১১টি আঞ্চলিক প্রকল্পে অংশ নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আইএইএ’র কারিগরি সহযোগিতা কার্যক্রমের কাঠামোর আওতায় পরমাণু শিক্ষা ও গবেষণা, খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, পানিতে আইসোটোপ কৌশল প্রয়োগ, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, নন ডেস্ট্রাকটিভ টেস্টিংয়ের মতো শিল্প সহায়তা, শস্য ও গবাদি পশুর উন্নয়ন এবং পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের মতো অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতা পেয়েছে।’