এবছর ৪৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ মা ইলিশ নদীতে ডিম ছেড়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। বুধবার দুপুরে মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে আরো জানানো হয়, গত অক্টোবরের ২২ দিন ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে এতো বেশি মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে । দেশের নদ-নদীতে ইলিশের ধারণ ক্ষমতা সাত লাখ মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছর ইলিশের উৎপাদন হবে ছয় লাখ টনের বেশি।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউড (বিএফআরআই) অভিযান চলাকালে দেশের ৯টি পয়েন্টে মনিটরিং করে। তাদের পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে এ বছর প্রায় ৪৭ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। একইভাবে ইকোফিশ প্রকল্পের বৈজ্ঞানীরা ইলিশের ডিম ছাড়ার ৫টি পয়েন্ট মনিটরিং করে। তাদের পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে এ বছর প্রায় ৪৮ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। একই সঙ্গে মৎস্য অধিদফতরের বিভিন্ন জেলা কর্মকর্তারাও তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের হিসাবে ৫০ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। এসব সংস্থার সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় এ বছর প্রায় ৪৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে।
ইলিশ রক্ষার জন্য দুই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মা ও জাটকা ইলিশ রক্ষায় পাঁচটি অভয়াশ্রমসহ ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। গত ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা ইলিশ ধরেছে তাদের ধরতে অভিযানও চালানো হয়। এ বছর ১৩ হাজার ৭৬২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। আর গত বছর অভিযানের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৫৩০টি। পরিচালিত অভিযানে এ বছর ২ হাজার ৩৮৯ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে ৬২ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে এই অভিযানে ৫২ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১ হাজার ১৫৬ জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।