মার্চ মাসেই তাপপ্রবাহ, কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রবৃষ্টিসহ একটি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত সভা শেষে এমন বিরূপ আবহাওয়ার আভাস দিয়েছে সরকারি এই সংস্থাটি।
এতে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন আহমেদ। ১ মার্চ, রবিবার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মার্চ মাসের আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করা হয়।
ওই পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘মার্চ মাসে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুই দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও দেশের অন্যত্র তিন-চারদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।’
আবহাওয়া অফিস জানায়, ‘এ মাসের দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক (৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অপেক্ষা সামান্য কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ওপর দিয়ে একটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি থাকতে পারে।’
এ মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮৩ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মূলত পশ্চিমা লঘুচাপদের সঙ্গে পূবালী বায়ু প্রবাহের সংযোগ ঘটার ফলে ৮ ফেব্রুয়ারি এবং ২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটে। আর ১-৮ ও ১০-১৩ ফেব্রুয়ারি রংপুর-রাজশাহী বিভাগে এবং যশোর, কুষ্টিয়া, শ্রীমঙ্গল, রাঙ্গামাটি অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ফেব্রুয়ারি ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে যথাক্রমে ০.৭ ডিগ্রি ও ১.২ ডিগ্রি কম ছিলো।
এছাড়াও বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, প্রাপ্ত আবহাওয়ার উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশে আবহাওয়ার বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল ইত্যাদির বিশ্লেষণ করে পূর্বাভাস প্রদান করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।