শেষ পর্যন্ত সাউদাম্পটন টেস্ট জিতে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়ে দিল ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
সাউদাম্পটনের টেস্ট ম্যাচটি ঐতিহাসিক। কারণ, এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই করোনার পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট মাঠে ফিরেছে। এছাড়া উদযাপনে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়- এসব নিয়ম মেনে, দর্শকহীন স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২০০ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কার্লোস ব্রাফেট, সাই হোপ এবং সামারাহ ব্রুকসের উইকেট দ্রুত হারিয়ে এবং জন ক্যাম্পবেল আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার কারণে শুরুতেই বেশ বিপদে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অসাধারণ জয়টি এনে দেন। তার সঙ্গে ৩৭ রান করেন রস্টোন চেজ।
শেন ডরউইচ করেন ২০ রান। জেসন হোল্ডার ১৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ দিকে মাঠে নামেন জন ক্যাম্পবেল। তিনি অপরাজিত থেকে যান ৮ রানে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নেন জোফরা আরচার। ২ উইকেট নেন বেন স্টোকস। ১ উইকেট নেন মার্ক উড। দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত বোলিং করে ৯ উইকেট (৪+৫) নিয়ে ম্যাচ সেরা হলেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০৪ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ৬ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। ৪ উইকেট নেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ৩১৮ রান। কার্লোস ব্রাফেট করেন ৬৫ রান। শেস ডরউইচ করেন ৬১ রান। বেন স্টোকস নেন ৪ উইকেট। জেমস অ্যান্ডারসন নেন ৩ উইকেট।
১১৪ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ৩১৩ রানে। জ্যাক ক্রাউলি করেন ৭৬ রান। ডোম সিবলি করেন ৫০, ররি বার্নস ৪২ এবং বেন স্টোকস করেন ৪৬ রান। গ্যাব্রিয়েল নেন ৫ উইকেট। রস্টোন চেজ এবং অ্যালজারি জোসেফ নেন ২টি করে উইকেট।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ২০০ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় জয়ের জন্য। যা ৬৪.২ ওভার ব্যাট করেই স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ক্যারিবীয়রা।