আপনি হয়তো ওজন কমানোর জন্য তীব্র লড়াই-সংগ্রাম করে আসছেন কিন্তু তারপরও ওজন কমাতে পারছেন না। এমনকি ডায়েটিং করেও তা হচ্ছে না। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন, শুধু না খেয়েই ওজন কমে না বরং খেয়েও ওজন কমে। এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো ওজন কমাতে সহায়ক। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন আটটি খাদ্য সম্পর্কে যেগুলো খেলে আপনার ওজন কমবে।
১. গ্রিন টি
ক্যাফেইন নয় বরং সবুজ চা-তে থাকা ক্যাটেচিনস নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হজম এবং চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। ফলে ওজনও কমে। এ ছাড়া এটি ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী এলডিএল কোলোস্টেরল বা ক্ষতিকর কোলোস্টেরল কমাতেও সহায়ক।
২. আপেল
আমরা সকলেই জানি কীভাবে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার পড়বে না। কিন্তু আপেল যে চর্বি দূর করে তা কি জানেন? প্রতি টুকরো আপেলে চার থেকে পাঁচ গ্রাম আঁশ আছে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও আছে।
যা আপনার দেহে জরুরি ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান যুক্ত করে।
৩. ঘণ্টা মরিচ (ক্যাপসিকাম)
লাল, হলুদ বা সবুজ যেকোনো প্রকার ঘণ্টা মরিচেই আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ওজন নিয়ন্ত্রেণে রাখতে সহায়ক। সালাদ বা স্যুপের সঙ্গে খেতে পারেন এটি।
৪. অ্যাভোকাডো
যদিও বলা হয় এই ফল চর্বিবহুল তথাপি আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আঁশ এবং প্রোটিন যা ওজন কমাতে সহায়ক। এ ছাড়া এসব ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামুক্ত রাখবে।
৫. কাজু বাদাম
আপনি কি জানেন এই বাদামগুলো সেরা সব পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিনে পূর্ণ? মাত্র এক মুঠো বাদাম আপনাকে দেবে প্রচুর শক্তির যোগান। এবং আপানাকে রাখবে ক্ষুধামুক্ত। তবে চকলেট বা লবণযুক্ত বাদাম থেকে দূরে থাকুন।
৬. কুইনোয়া
কুইনোয়াকে বলা হয় চালের বিকল্প কার্বোহাইড্রেটের উৎস। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আঁশ। আর এটি ওজন কমাতে সহায়ক দারুণ একটি খাবার।
৭. ডিম
ডিমের সাদা অংশে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যা ক্ষুধার অনুভূতি দূর করে। নাশতায় ডিমের সাদা অংশ খাওয়া সেরা পছন্দ হতে পারে।
৮. দারুচিনি
আপনার খাদ্য ও পানীয়তে চিনির বদলে বরং দারুচিনি যুক্ত করুন। এ থেকে আপনি পাবেন বাড়তি শক্তি। আর এটি আপনার দেহে ইনসুলিন নিঃসরণও নিয়ন্ত্রিত রাখবে। দারুচিনির রয়েছে মিষ্টি স্বাদ এবং এটি পুরোপুরিভাবে কলুষমুক্ত।