বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর কয়কো ইয়োকসু মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের সফল বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন।
শনিবার রাজধানীর বনভবনে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে তিনি এই প্রশংসা করেছেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কানাডায় ওজোনস্তর রক্ষায় মন্ট্রিয়ল প্রটোকল গৃহীত হয়।
ইউএনডিপির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপছিু আয় বাড়ার সাথে সাথে ফ্রিজ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ব্যবহার বাড়ছে। এর ফলে ওজোনস্তরের ক্ষতি হচ্ছে। একমাত্র সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগের সমন্বয়ের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে একটি সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার করলেও সে স্বপ্ন নষ্ট হতে চলেছে। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো পৃথিবীকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেখানে বসবাস করা দু:সহ হয়ে পড়েছে।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমরা সুন্দর পৃথিবী এবং সুন্দর জীবন কল্পনা করছি। কবির সে বাণী ‘মানবের তরে মাটির পৃথিবী, দানবের তরে নয়’-মন্ত্রকে সামনে রখে আমরা এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, অনেকে বলছেন, ওজোনস্তর নষ্ট হলে পৃথিবীতে আমাদের বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ হবে। নানা ধরনের রোগ ছড়াবে, ফসলহানি হবে ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে এখন যে পরিবেশ বিরাজ করছে তা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এত কিছুর মধ্যেও আমরা নতুন প্রজন্মকে আশার বাণী শুনিয়ে যাচ্ছি।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্যারিস চুক্তি কার্যকর না হলেও মন্ট্রিয়ল প্রটোকল বাস্তবায়নে দেশগুলো অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যও কম নয়। তিনি বলেন, ওজোনস্তর রক্ষায় সরকারের সাথে সাথে অন্যদের এগিয়ে আসতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইছ উল আলম মন্ডল বলেন, ওজোনস্তর না থাকলে মানবজীবন বিপন্ন হবে। নানা ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দেবে। তবে, জনগণের মধ্যে সচেতনতার কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের হার কমিয়ে আনা হয়েছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমীও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব ওজোন দিবস, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।