শীতে যে সব সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়, তার মধ্যে টনসিলের সমস্যা অন্যতম। ঢোক গিলতে ব্যথা, কথা বলতে কষ্ট, ঘন ঘন কাশি এ সবের সঙ্গে টনসিলের সংক্রমণ থেকে কখনও কখনও জ্বরও আসে।
শারীরিক যে কোনও সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে হাতের কাছে সব সময়ই যে চিকিৎসক মিলবে এমন নয়। আবার নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। শরীরের আভ্যন্তরীণ নানা দিক খতিয়ে না জেনে ওষুধ খেলে অনেক সময়ই সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় অনেক অসুখই ঘরোয়া উপায়ে সমাধান সম্ভব।
টনসিলের সমস্যাও তেমনই। সমস্যা জানান দেওয়ার পর থেকেই যত্ন নিলে ঘরোয়া কিছু উপায়েও সারিয়ে তুলতে পারেন অসুখ।
লবন -পানি: গরম পানিতে লবন মিশিয়ে ভেপার নিন। এই সময় চাদর দিয়ে নিজেকে মুড়ে ফেলুন। কান-মাথা যেন অবস্যই জড়ানো তাকে। পাখার হাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে। গলা ব্যথা, টলসিলের অসুখ থেকে অনেকটা আরাম দেয় এই গরম লবন পানির ভেপার।
দুধে হলুদ: খুশখুশে কাশি থেকে টনসিলের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই— ফোটানো দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া এর অন্যতম দাওয়াই। হলুদের অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান সংক্রমণ সরায়। এ ছাড়া হলুদ প্রাকৃতিক ভাবেই অ্যান্টিসেপটিক উপাদানে ঠাসা। তাই হলুদের প্রভাবে গলার প্রদাহও সারে অনেকটাই।
গ্রিন টি ও মধু: তিন কাপ পানিতে এক চা চামচ গ্রিন টি ও এক চামচ মধু দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। এই চা একটা ফ্লাস্কে রেখে দিন। উষ্ণ থাকাকালীন অল্প অল্প করে বার বার খান। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি শরীরের জীবাণুর সঙ্গে লড়াইও করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান প্রদাহ কমায় টনসিলের।