এই বৃষ্টি, তো এই গরম। এমন আবহাওয়ায় সব থেকে বেশি ভোগায় সর্দি–কাশি। সাধারণ অবস্থায় সর্দি–কাশিকে আমরা খুব একটা আমলে নেই না। ফার্মেসিতে গিয়ে প্রচলিত কিছু ওষুধ দিয়েই সর্দি-কাশি ভাল করার চেষ্টা করি। কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে তখনই সমস্যায় পড়তে হয়। অবহেলার জেরে অনেক সময় বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট, সঙ্গে জ্বরও হতে পারে।
সর্দি–কাশির বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে, প্রয়োজন পড়তে পারে অ্যান্টিবায়োটিকেরও। কিন্তু প্রথম অবস্থাতেই যদি একটু সচেতন থাকেন, তা হলে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলেই সর্দি–কাশির হাত থেকে মুক্তি মিলবে।
এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তির উপায় জেনে নিনঃ
১। অ্যাপল সিডার ভিনিগার ও মধুর মিশ্রণ এই সময় খুব উপকারী। হালকা গরম পানিতে দু’চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বার দুয়েক খান।
২। তুলসি পাতা, বাসক পাতা ও তালমিছরি দিয়ে পানি ফোটান। সেই ফোটানো পানিতে আদার রস মেশান। প্রতি দিন এক কাপ করে এই মিশ্রণ গরম গরম খান। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমাবে এই মিশ্রণ। বুকে কফ জমে থাকলে তা থেকেও দ্রুত নিষ্কৃতি মিলবে।
৩। গরম পানিতে সামান্য নুন ফেলুন। এ বার মাথায় তোয়ালে চাপা দিয়ে, বড় করে শ্বাস নিয়ে, গরম পানির ভাপ নিন। এ ভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার করুন, উপকার পাবেন। এর পর পরেই চলন্ত পাখার নীচে চলে আসবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হয়।
৪। হলুদ খুব উপকারী । এর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শ্বাসনালীর পথ পরিষ্কার করে। প্রতি দিন সকালে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলেও ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচা যায়। এক গ্লাস গরম পানিতে সামান্য হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে খান। ভাল ফল পেতে দুধে অল্প হলুদ ফেলে ফোটান। সঙ্গে খানিকটা মধু দিন। দিনে বার তিনেক এই মিশ্রণ খান। মধুর মধ্যেও জীবাণুনাশক নানা উপাদান থাকে। গলা ভেঙে গেলে বা বুকে কফ জমে থাকলে এই মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন।