বল টেম্পারিং করে নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে বেশ কঠোর শাস্তিই পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন বেনক্রাফট। ১ বছর নিষেধাজ্ঞার এই শাস্তি দেওয়া নিয়েও অনেক সমালোচনা আছে। এর মাঝেই এবার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) কাছে এই তিজনের নির্বাসনের মেয়াদ কমানোর আর্জি জানাল সে দেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন এসিএ। তাদের যুক্তি, অতীতে একই অপরাধে দোষী ক্রিকেটাররা যে শাস্তি পেয়েছেন, সেই শাস্তির চেয়ে এই শাস্তি একেবারে আলাদা এবং অনেক বেশি কঠোর। তাই এখনই এই শাস্তি পুনর্বিবেচনা করা হোক।
গত মাসে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট চলাকালীন বলবিকৃতি করতে গিয়ে টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যান অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট। সেই ঘটনার দিনই সাংবাদিক বৈঠকে স্মিথ সব অপরাধ স্বীকার করে বলেন, অধিনায়ক হিসেবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনিও। পরে বোর্ডের তদন্তে জানা যায় পুরো ঘটনাটা ডেভিড ওয়ার্নারের মস্তিষ্কপ্রসূত। স্মিথ ও ওয়ার্নারকে ১২ মাস ও ব্যানক্রফ্টকে ৯ মাসের জন্য নির্বাসন দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাসনের মেয়াদ কমুক, চায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সংগঠন।
২০১৯ বিশ্বকাপ ও অ্যাসেজের জন্য স্মিথরা যাতে নিজেদের তৈরি রাখতে পারে, সে জন্যই এই আবেদন করেছে অজি ক্রিকেটারদের এই সংগঠন। তাছাড়া ঘটনার পরেই এত দ্রুত শাস্তির রায় দেওয়া নিয়েও আপত্তি তুলেছে তারা। এসিএর প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ডায়ার বলেন, ‘তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তাতে ভুল থাকতেই পারে। আবেগ বা রাগ থেকেও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক না। যে শাস্তির রায় শোনানো হয়েছে, তা অতীতের একই অপরাধে পাওয়া শাস্তির চেয়ে একেবারে আলাদা।’
এসিএ এর আগের প্রায় ১২টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখেছে বলে জানিয়েছে। সেগুলিতে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল দুটি ওয়ানডে ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা। ডায়ার বলেছেন, ‘একই অপরাধে অতীতের সবচেয়ে কঠোর শাস্তি যেখানে দুটি ওয়ানডেতে নির্বাসন, সেখানে স্মিথদের এই শাস্তি অনেক বেশি কঠোর। ওদের সঙ্গে সারা অস্ট্রেলিয়া কেঁদেছে। এতেই বোঝা যায় কতটা অনুতপ্ত ওরা। এ ভাবেই প্রাপ্য শাস্তি পেয়ে গিয়েছে ওরা। ওদের দ্রুত ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হোক।’