ওয়ারলেস চার্জার ব্যবহার করা খুবই সহজ। এতে কোনও তার লাগেনা। চার্জার অন্য কোথাও ভুলে রেখে এলাম কিনা তা মনে রাখার দরকার নেই। আজকাল আমাদের সবার কাছেই বিভিন্ন সংস্থার স্মার্ট ফোন থাকে। যদিও তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই চার্জার এক রকমের হয়ে থাকে। তবে অ্যাপেল ফোনগুলির চার্জার অন্যদের থেকে একটু আলাদা হয়। ওয়্যারলেস চার্জারগুলির সাহায্যে আমরা এক সঙ্গে অনেকগুলি ফোন চার্জ দিতে পারব।
ওয়্যারলেস চার্জারগুলির সাহায্যে যেকোনও আকার ও মাপের ফোনের চার্জিং সকেটে চার্জ দেওয়া যায়। এগুলির ব্যবহার শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনেই সীমাবদ্ধ নয়। এদের মাধ্যমে আমরা অনেক রকম ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চার্জ দিতে পারব।মাল্টিপল ডিভাইস চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করলে আমরা আমাদের স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ইত্যাদি খুব সহজেই চার্জ দিতে পারব। এর ফলে আমরা আমাদের বাড়িতে ও অফিসে তার ও অ্যাডাপ্টার এর হাত থেকে রেহাই পাব।
এই ওয়্যারলেস চার্জারগুলির যেমন সুবিধা আছে, তেমনি এগুলির কিছু অসুবিধাও আছে। তাই এগুলি কেনার আগে তাদের অসুবিধার কথাও জেনে রাখা দরকার। এগুলির কার্যক্ষমতা এখনও গতানুগতিক চার্জারের মতো হয়ে ওঠেনি। যার ফলে চার্জিংয়ের গতি অনেকটাই কমে যায়। অন্যান্য চার্জারের তুলনায় এগুলিতে তাপ বেশি নিঃসৃত হয়ে থাকে।
যদিও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ে আমরা তার ছাড়াই চার্জ দিতে পারি, তবুও এটি একেবারে তারবিহীন নয়।এর চার্জিং স্টেশনগুলিকে প্লাগে লাগাতেই হয়। চার্জিং স্টেশনগুলিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়াও খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এছাড়াও ফোন বা অন্য কিছু চার্জ দেওয়ার সময় তাদের সর্বক্ষণ চার্জিং প্যাডের উপরে রাখতে হয়, যার ফলে চার্জ দেওয়ার সময় আমরা এগুলিতে কোনও কাজ করতে পারিনা।
তবে এই প্রযুক্তিটি একেবারেই নতুন। স্বাভাবিক ভাবেই এই চার্জারগুলি পুরোপুরি ভাবে ত্রুটিমুক্ত নয়। তবে এগুলি অদূর ভবিষ্যতে আরও পরিণত হতে চলেছে। এগুলি পুরোপুরি ওয়্যারলেস হতে এবং অন্যান্য চার্জারগুলির মতো জনপ্রিয় হতে এখনও কিছু সময় নেবে। বহু কোম্পানি এদের আরও উন্নত করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।