ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর কদমতলীতে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কদমতলী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ বেল্লাল (৩০), জালাল (৩০), মহিন (২৮) ও সুমন (৩০)।
গত ২০ মে, ২০১৭ তারিখ রাত ২২:১৫ টার দিকে কদমতলী থানার ঢাকা ম্যাচ এলাকার ঈগলু আইসক্রীম ফ্যাক্টরীর সামনে রাস্তার পাশে ছাপড়া ঘর হতে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সের একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষের পঁচা গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ব্যক্তির নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে সনাক্ত করার জন্য আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিস, ঢাকা’র মাধ্যমে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে মৃতদেহটি সনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মৃতদেহ পঁচে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। মৃত ব্যক্তির কোন আত্মীয়-স্বজন না পাওয়ায় গত ২২ মে, ২০১৭ তারিখে কদমতলী থানার একটি হত্যা মামলা রুজু করে পুলিশ ।
মামলাটি তদন্ত শুরু করে কদমতলী থানা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে মৃত ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে বের করে পুলিশ। জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম ইমরান। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার তজুমদ্দিন থানা এলাকায় । মৃত ব্যক্তি কদমতলী থানার ঢাকা ম্যাচ এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি মিল ফ্যাক্টরীতে চাকরি করতেন।
মামলাটি তদন্ত করার সময় হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী বেল্লালকে গত ২৩ মে,২০১৭ রাতে ঢাকা ম্যাচ কলোনী থেকে গ্রেফতার করে কদমতলী থানা পুলিশ। গত ২৬ মে আসামী বেল্লালকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে সে হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উক্ত আসামীর প্রদত্ত জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত তার অপরাপর তিন সহযোগী জালাল, মহিন ও সুমনদের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে আসামী জালাল গত ২৮ মে বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
মামলাটি তদন্তকালীন জানা যায়, ধৃত আসামীরা এবং মৃত ইমরান পরস্পর পরস্পরের পরিচিত। গত ১০ মে আসামীদের সাথে ইমরানের মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। আসামীরা ইমরানকে তাদের মাদক বিক্রির জন্য চাঁপ দেয়। কিন্তু ইমরান তাতে রাজি না হওয়ায় একইদিন রাত ১০:০০ টার দিকে ধৃত আসামীরা পরিকল্পিতভাবে ইমরানকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়। মৃত ইমরানের কোন আত্মীয়-স্বজন উক্ত এলাকায় না থাকায় কেউ বিষয়টি টের পায়নি। যার কারনে ১০ দিন যাবত তার লাশ উক্ত ঘরে থাকায় পচেঁ গলে যায়।
ধৃত সকল আসামীসহ তাদের সহযোগী আরো ০৬ জন উক্ত হত্যার মিশনে অংশগ্রহন করে। অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অবাহত আছে।