ডিএমপি নিউজ: করোনা মহামারীর কারণে প্রযুক্তি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ঘরবন্দি থাকায় অফিশিয়াল কাজ ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুমের চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির আয় ও মুনাফা দুটোই বেড়েছে। বিশেষ করে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা দ্বিগুণ হয়েছে। খবর: বিবিসি।
গত ৩১ জুলাই শেষ হওয়া কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকে জুমের রাজস্ব আয় বেড়েছে ৩৫৫ শতাংশের মতো। এসময় আয় দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা ৪৯ কোটি ৬৩ লাখ ইউরো। যদিও প্রান্তিকটিতে কোম্পানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫০ কোটি ৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে জুমের গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৫৮ শতাংশ। আর মুনাফা বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ স্থিতিশীল অবস্থায় থাকায় এখনো দূর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে জুমের চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। এরই মধ্যে গত সোমবার কোম্পানির শেয়ার মূল্য রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এদিন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য ৩২৫ ডলার ১০ সেন্টে দিন শেষ করে। একই সঙ্গে বার্ষিক রাজস্ব আয় প্রাক্কলনের তুলনায় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আয় দাঁড়িয়েছে ২৩৭ কোটি থেকে ২৩৯ কোটি ডলারের মধ্যে, যেখানে গত বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ১৭৮ কোটি থেকে ১৮০ কোটি ডলারের মধ্যে ছিল।
তবে করোনার মধ্যে কেবল জুম অ্যাপ নয়, বরং অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের অ্যাপেরও আয় বেড়েছে। জুমের প্রতিদ্বন্দ্বী সিসকো ওয়েবেক্স এবং মাইক্রোসফট টিমেরও আয় ও মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চে দেশে দেশে লকডাউন চলাকালে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ হিসেবে জুমসহ অন্যান্য অ্যাপের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় ও মুনাফায় এ প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের জন্য করোনাকালে জনপ্রিয়তার দিক থেকে জুম অ্যাপ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।