ডিএমপি নিউজ: বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তড়িৎ পদক্ষেপে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা দলে দলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন।
বুধবার নতুন করে করোনামুক্ত হয়েছেন আরও ১৬১ পুলিশ সদস্য। তাঁরা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। করোনা উপসর্গ (কোভিড-১৯) নিয়ে এসব পুলিশ সদস্যগণ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক ধাপে সুস্থ হলেন এক হাজারের অধিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু ডিএমপি নিউজকে বুধবার ১৬১ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার নতুন করে করোনামুক্ত হয়েছেন আরও ১৬১ জন পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে ৬৬ জন ভর্তি ছিলেন রাজারবাগ ট্রাফিক পূর্ব ব্যারাকে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন পুলিশের এই সদস্যরা।
করোনা জয় করে সুস্থ হওয়া সম্মুখ যোদ্ধাদের বরাবরের মতোই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম-২) এ জেড এম তৈমুর রহমান ও ইন্টেলিজেন্স এন্ড এ্যানালাইসিস ডিভিশনের (আইএডি) সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ বায়েজিদুর রহমান ও ট্রাফিক পুর্ব বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের অকুতোভয় যোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বোচ্চ নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও অনেক পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজারবাগ ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদসদ্যদের দেখাশুনার জন্য কোঅর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রাইম ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ জেড এম তৈমুর রহমান।
এ জেড এম তৈমুর রহমান ডিএমপি নিউজকে জানান, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) করোনাক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত ও তাদের দেখাশোনার জন্য গঠন করেছেন একটি ‘বিশেষ টিম’।
তিনি জানান, ফলে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের একা ভাবছেন না। তাদের মনোবল ফিরে আসছে। আমাদের বীর যোদ্ধারা ক্রমেই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন।
তিনি জানান, কোঅর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই প্রতিদিন ট্রাফিক ব্যারাকে চিকিৎসাধীন সদস্যদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করেন। সেগুলোর সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দায়িত্বরত ডাক্তারদের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ফলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করছে আক্রান্ত সদস্যরা।
সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ বায়েজিদুর রহমান জানান, পুলিশ সদস্যদের সুস্থ করে তোলার জন্য ডাক্তার-নার্সদেরকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বময় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরু থেকে জনগনের পাশে আছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। জনগণকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করেই ফ্রন্ট-ফাইটার বা সম্মুখ যোদ্ধা খেতাব পেয়েছেন পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা।