দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১৩ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ হাজার ৬৬৮ জন।
আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ১৩৫তম দিনে পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার কমেছে এবং বেড়েছে সুস্থতা।
গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ হাজার ৩৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৯২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১০ হাজার ৬২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৫৯ জন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। দেশে এ পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
তিনি জানান, করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেশি।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৩৬৮ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১ হাজার ৫৪৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৬ জন।
তিনি জানান, আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৫৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে ৮০টি ল্যাব আছে। সরকারি ও সরাকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩২টি ল্যাব চালু আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৯টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৬২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১টি।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫০ জনের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও নারী ১৫ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচজন, সিলেট বিভাগে তিনজন, বরিশাল ও রংপুরে বিভাগে দু’জন করে চারজন, খুলনা বিভাগে ১০ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ৩২ জন ও বাসায় মারা গেছেন পাঁচজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, শূন্য থেকে ১০ বছরের একজন রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮২৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮০২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৪২ হাজার ৯৭০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬১২ জন।