ডিএমপি নিউজ: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিটি পর্যায়ে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশ আশংকাজনক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সমগ্র বাংলাদেশ-কে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে।
করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে জনগণকে নিরাপদে ঘরে রাখতে গুলশান বিভাগের পুলিশ সদস্যগণ মাঠে থেকে দিনরাত আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
রোবাস্ট কনভয় প্যাট্রোলিং, শক্তিশালী চেকপোস্ট, মোবাইল প্যাট্রোলিং, উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সিসিটিভি মনিটরিং, বিভিন্ন সোসাইটিকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত ও মানুষদের নিরাপদে ঘরে রাখার জন্য বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ।
কর্মহীন, অসহায়, দু:স্থ নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত যারা হাত পাততে পারেন না এরকম প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে তাদের পরিচয় গোপন রেখে বাসায় যেয়ে ১ এপ্রিল থেকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। বর্তমানে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিম্ন মধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে দেখা যাচ্ছে।
প্রকাশ্যে গোল চিহ্ন দিয়ে বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য দু:স্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। কাঁচাবাজার ও সুপারশপে প্রবেশ বহির্গমন একমুখী করা হয়েছে।সুপারশপ, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকানে স্টীকার কিংবা রং দিয়ে সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্টকরণ করা হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় বিভিন্ন বাসায় ওষুধ ও নিত্যপণ্য পৌঁছানো হচ্ছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানো, আবাসস্থল সংলগ্ন এলাকা লকডাউন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও গুলশান বিভাগের সদস্যরা সর্বদা তৎপর।
বিশেষ করে করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সৎকার ব্যবস্থা করতে প্রচন্ড বেগ পেতে হচ্ছে তারপরও নিবেদিত পুলিশ সদস্যরা ধর্মীয় বিধি মেনে মৃত ব্যক্তির সৎকার নিশ্চিত করে চলেছেন।
গুলশান বিভাগের গর্বিত পুলিশ সদস্যদের মানবিক প্রচেষ্টা শুধুমাত্র সম্মানিত নাগরিকদের জন্য। সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব সর্বোপরি সাধারণ মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই সর্বস্ব বিলিয়ে এই পুলিশ সদস্যরা তৎপর এই করোনা ভাইরাস দুর্যোগ থেকে সবাইকে রক্ষা করার জন্য। ইতোমধ্যে গুলশান বিভাগের ৩২ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই কোয়ারেন্টিন-এ আছেন। তারপরও এই দুর্গম পথ পাড়ি দিতে এই পুলিশ সদস্যরা নিবেদিত মানবতার দীপ্তশপথে বলীয়ান হয়ে।
উপ-পুলিশ কমিশনার গুলশানের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৩২ জন পুলিশ সদস্যের নিকট তাদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুভেচ্ছা উপহার পাঠানো হয়েছে।
সম্মানিত নাগরিকদের নিকট উপ-পুলিশ কমিশনার গুলশান বিভাগের আহবান – “নিরাপদে ঘরে থাকুন” “বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন”।