করোনা আতঙ্কে পিছিয়ে গেল ভারত-ইইউ শীর্ষ সম্মেলন। ১৩ মার্চ এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রাসেলস যাওয়ার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার জানিয়েছেন, দু’পক্ষের সম্মতিতেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভারত এবং ইইউ দুই তরফই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সমানভাবে উদ্বিগ্ন। তাই আপাতত শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে না। পরে কোনও সুবিধাজনক সময়ে তা আবার হবে।
এই সম্মেলনের জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। আলোচ্য বিষয় ছিল, ইইউ-র সঙ্গে ভারতের বানিজ্য, পরিবেশ, সন্ত্রাস ইত্যাদি। কাশ্মীরে ৩৭০ বিলোপ ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর গোটা বিশ্বে তার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও সেই উত্তাপ ছড়িয়েছিল। সিএএ এবং কাশ্মীর নিয়ে ভোটাভুটির প্রস্তাবও পাস হয়েছিল ইইউ পার্লামেন্টে। পরে ভোটাভুটির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ভারতে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হন। কারণ, তাঁর ভিসা শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেয় ভারত। তিনিও যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সিএএ ও কাশ্মীর নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এই ঘটনাও ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলোড়ন তৈরি করেছিল।
সম্প্রতি জাতি সংঘের মানবধিকার সংস্থাও ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সিএএ নিয়ে আবেদন জানিয়েছে। ফলে, ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইইউতে মোদীর প্রশ্নের মুখে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। সম্মেলন পিছিয়ে যাওয়ার পিছনে এই কারণগুলো আছে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।