করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং আর্মেনিয়া। এখন পর্যন্ত ইরানে ১৮ জন মারা গেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে সৌদি আরবেরর বেসরকারি টেলিভিশন আল আরাবিয়া। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন। দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতে আশঙ্কাজনকহারে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। স্থগিত করা হয়েছে ভেনিস কার্নিভাল।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে ইরানের অনেক শহর। এখন পর্যন্ত ১৮ জন মারা গেছে। যা চীনের বাইরে সর্বোচ্চ। ইরান থেকে যাওয়া আক্রান্ত ব্যক্তি কানাডা ও লেবাননে শনাক্ত হয়েছে। দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশীরা।
একজন বলেন, আমরা সবাই আতঙ্কিত। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মাস্ক গ্লাভসের সঙ্কট বেড়েছে। সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করা।
ইতালিতে ১৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন দু’জন। বাণিজ্যিক রাজধানী মিলানের উত্তরাঞ্চলীয় লোম্বাার্ডিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। জনসমাবেশে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। দুইদিন আগেই স্থগিত করা হয়েছে ভেনিস কার্নিভাল। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
রোববার চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪২ জন মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৭ হাজার। দ্রুত সংক্রমিত হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না পরিস্থিতি জানালেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তার এ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চীন, ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জর্ডান। এদিকে ডায়মন্ড প্রিন্সেসে আক্রান্ত আরো এক ব্যক্তি জাপানে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ৩২টি দেশে ছড়িয়েছে কভিন-১৯। উদ্বেগ জানিয়ে যেসব দেশের স্বাস্থ্যখাত দুর্বল ও অনুন্নত তাদের সহায়তায় জরুরি অর্থ চেয়েছে জাতিসংঘ।