ডিএমপি নিউজঃ বিশ স্বাস্থ সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও মৎস্য ও জলজ সম্পদ রক্ষায় উদ্দমের সহিত কাজ করে যাচ্ছে নৌ পুলিশ। বঙ্গোপসাগরে ২০ মে হতে ২৩ জুলাই, ২০২০ পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে এবং নদীতে অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের বিরুদ্ধে দেশ ব্যাপী অভিযান অব্যহত রেখেছে নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশের অতিঃ পুলিশ সুপার(ট্রেনিং, লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) ফরিদা পারভীন ডিএমপি নিউজকে জানান, ৮ জুন, ২০২০ রামগতির মেঘনা নদীর বয়ার চরে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ ও ১০ হাজার মিটার অবৈধ সূতার জালসহ ২টি ট্রলার উদ্ধার করে বড়ক্ষেরী নৌ পুলিশ। তিনি আরো জানান, বিশেষ অভিযান চালিয়ে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন পয়েন্টে ১ মে, ২০২০ তারিক থেকে ৯ জুন, ২০২০ তারিক পর্যন্ত ১,১২,৩০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং ৪০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। অপর এক অভিযানে রাজশাহীর চারঘাটের চর মুক্তরপুর থেকে ২০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে চারঘাট নৌ পুলিশ। তাছাড়াও বিভিন্ন জাল তৈরির কারখানা ও আশপাশের এলাকায় অভিযানে চালিয়ে ৯ কোটি মিটার অবৈধ জাল উদ্ধার করে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ডিএমপি নিউজকে বলেন- নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশের অভিযান চলবে। এত সব কাজ শুধু বাংলদেশের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য। মাছে ভাতে বাঙ্গালিকে মৎস্য সম্পদ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জণে সহায়তা করা। সকল জলজ সম্পদ রক্ষায় নৌ পুলিশ বদ্ধপরিকর।
সাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরণের উপর জোর নিষেধাজ্ঞা চলমান রাখছে নৌ পুলিশ। উপকূলীয় এলাকা সমূহ শুধু ট্রলার নয় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে প্রায় আড়াইশ বরফকলের উপর। প্রতিদিন পালাক্রমে এসকল বরফকলগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে।