ডিএমপি নিউজঃ যে কোনও দায়িত্বশীল মানুষ যখন তার কর্মক্ষেত্রে কাজ করে তখন তার উপর কাজের ভার বা দায়িত্ব এবং চাহিদা- দুটোই বেশি থাকে। আর নিজের দক্ষতা দিয়ে সেইসব কঠিন কাজের সফল মোকাবিলা করাও জরুরি হয়ে ওঠে। একেই বলা হয় কর্মক্ষেত্রের চাপ।
কর্মক্ষেত্রের কাজের চাপ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে মানসিক চাপ আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কমছে স্ত্রীর সঙ্গে কাটানোর সময়। দিনের পর দিন ক্রমাগত কাজের চাপ বাড়তে থাকলে তার জের সম্পর্কে পড়তে বাধ্য। সমীক্ষাও বলছে, যে সব দম্পতির জীবনে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স অনুপস্থিত, তাঁদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু কাজের চাপ বা তার সঙ্গে যুক্ত মানসিক চাপ, কোনটাই যেহেতু এড়ানো যাবে না, তাই বরং সম্পর্কটাকেই সুস্থ রাখার চেষ্টা করা ভালো। বাইরের চাপ যাতে আপনার দাম্পত্য জীবনে অশান্তির ছায়া ফেলতে না পারে, তার পথের খোঁজ জেনে রাখুন এখন থেকেই।
স্ত্রীর উপর ঝাল ঝাড়বেন নাঃ
হতেই পারে সারাটা দিন আপনার উপর দিয়ে অফিসে ঝড় বয়ে গেছে, কিন্তু তার জের যেন বাড়ি ফিরে স্ত্রীর উপর না পড়ে! কর্মক্ষেত্রে অশান্তির জন্য স্বামীর উপর দায় চাপাবেন না। কারণ তাতে আপনার অফিসের পরিস্থিতির উন্নতি তো হবেই না, মাঝখান থেকে দাম্পত্য সম্পর্কটাও মার খেয়ে যাবে।
মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুনঃ
অফিসে প্রবল স্ট্রেস থাকলে তার জের বাড়িতেও পড়ে, এ কথা সত্যি। সবসময় মেজাজ ঠিক থাকে না, তাও ঠিক। মাঝেমাঝে চেঁচিয়ে ফেললে ঠিক আছে, কিন্তু কখন থামতে হবে, সেটাও মাথায় রাখা দরকার। বাড়িতে ঘ্যানঘ্যান করলে বা চিত্কার চেঁচামেচি করলে আপনার অফিসের পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে না।
স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুনঃ
আপনার মনের অবস্থা কেমন, সেটা স্ত্রীকে জানতে দিন। গোপন করবেন না। উনি সব জানলে আপনার জায়গাটাও বুঝতে পারবেন।
নিজেকে সময় দিনঃ
মাঝেমাঝে একা থাকা দরকার। তাতে নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতেও সুবিধা হয়। শুধু দীর্ঘ সময় একা থাকার অভ্যাস করবেন না, তাতে স্ত্রী মনে করতে পারেন আপনি ওঁকে এড়িয়ে চলছেন।
অফিসটাকে মাথায় ঢুকিয়ে নেবেন নাঃ
অফিসের জীবন আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটা স্পষ্ট সীমারেখা টানুন এবং সেটা মেনে চলুন। উইকএন্ডে বাড়িতে থাকাকালীন ছুটির সময়টা পুরোটাই আপনার পরিবারকে দিন। কাজের চাপ কাটিয়ে চনমনে হয়ে উঠতে এই ব্রেকটা খুব দরকার।