ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাসের একটি বাসা থেকে ৭২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের চারজনকে অস্ত্রগুলিসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কলাবাগান থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ সোহেল, মোঃ ফরহাদ, মোঃ ইলিয়াচ শেখ ও মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার। এসময় তাদের হেফাজত হতে ৩ টি বিদেশী পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, ৩ টি ম্যাগাজিন, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২২) রাজধানীর কলাবাগান ও আদাবর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ সংক্রান্তে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ, বিপিএম, পিপিএম।
তিনি বলেন, গত আগস্ট মাসের ২০ তারিখে কলাবাগান লেক সার্কাস ডলফিন গলিতে রাত ০১.০০ ঘটিকা হতে ভোর ০৫.৩০ ঘটিকার মধ্যে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় গ্রীল কেটে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ৭২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলাবাগান থানায় মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি রুজু পরে নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এর নেতৃত্বে কলাবাগান থানার একটি টিম চোরাই মালামাল উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা ও রাজধানীর আশপাশের ৫০০-র অধিক সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চোরদের শনাক্ত করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে কলাবাগান থানার ডলফিন গলির হতে সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াচকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ারুল ইসলামকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং বাজার হতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল সর্ম্পকে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, এদের কেউ ভ্যানে করে ডাব, সবজি বা ফল বিক্রেতা সেজে ফাঁকা বাসা টার্গেট করে। পরবর্তী সময় সুযোগ বুঝে গ্রিল কেটে চুরি করে। আর চুরি করার সময় কোন ধরনের বাধা আসলে ভিকটিমদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয় তারা।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সকল সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কলাবাগান থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা রুজু হয়েছে। তাদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহেন শাহ (নিউমার্কেট জোন) এর তত্ত্বাবধানে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান (নিউমার্কেট জোন) এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।