শেষ পর্যন্ত আশঙ্কা সত্যি করে বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের দিকে শুল্ক-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা ঘোষণা করেই দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা হুমকি দিয়েছে চীনও। শুক্রবার চীন যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, তারা বাণিজ্য যুদ্ধে একেবারে ভীত নয়।
খবরে বলা হয়, ৩শ’ কোটি ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর সম্ভাব্য পাল্টা শুল্ক আরোপের একটি তালিকা প্রকাশের পর চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ বেইজিং কোন বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায়না। তবে তারা বাণিজ্য যুদ্ধে একেবারে ভীত নয়।’
এই তাল ঠোকাঠুকিতে কাঁপুনি ধরেছে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারে। ট্রাম্প এ দিন এই সংক্রান্ত স্মারকলিপি সই করার পরেই হুড়মুড়িয়ে পড়তে শুরু করে আমেরিকার শেয়ার বাজার। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’ দু’পক্ষ ক্ষান্ত না দিলে, আরও রক্ত ঝরবে বিশ্বের বাজারে।
ওয়াশিংটনের দাবি, তারা তদন্তে দেখেছে, অবাধ বাণিজ্যের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না চীন। যে সমস্ত মার্কিন সংস্থা তাদের দেশে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করে, মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার নিয়ম ভেঙে এবং চাপ খাটিয়ে এশীয় দেশটি হাতিয়ে নেয় তাদের প্রযুক্তি। যা সরকারি চোখরাঙানিতে প্রযুক্তি চুরিই। তারা অভিযোগের আঙুল তুলেছে চীনের উঁচু শুল্ক-প্রাচীরের দিকেও। আর এই সব কারণেই ৬,০০০ কোটি ডলারের চীন পণ্যে চড়া শুল্কের প্রস্তাব।
বিশ্ব অর্থনীতির দুই মহাশক্তির এই যুদ্ধে তাই কাঁপুনি বাজার ও কর্পোরেট দুনিয়ায়।
অনেকে বলছেন, ক্ষতি এত মারাত্মক বলেই আলোচনার দরজা কিছুটা খুলে রেখেছেন ট্রাম্প। যতটা কড়া পদক্ষেপের কথা ছিল, এ দিনের প্রস্তাব না কি তার তুলনায় কিছুটা নরম। কিন্তু তাতে কি বাণিজ্য যুদ্ধ আটকাবে?