ডিএমপি নিউজ: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের গুলশান জোনাল টিম দেশের কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণ চোরাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের নাম পারভীন আক্তার শাহীনুর ওরফে আলপিনা খাতুন, শুভ বনিক, ভানু লাল বনিক, অমিত দেবনাথ, কৃষ্ণ চন্দ্র কর্মকার ও সুজন বনিক।
রাজধানীর গুলশানের রাশেদুল ইসলামের বাসায় কাজের বুয়া হিসাবে পারভীন আক্তার ওরফে আলপিনা খাতুন কর্মরত ছিল। গত ৫ মার্চ’১৭ দুপুর অনুমান ০২:৩০ টা হতে ০৩:৩০ টার মধ্যে উক্ত বাসা হতে সে ৬০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। আলপিনা খাতুনকে গত ০৪ মে’১৭ তারিখ নেত্রকোনা তার নিজের বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার পূর্বক তার দেয়া তথ্য মতে ১৮ ভরি ওজনের স্বর্ণের হার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আলপিনার স্বীকারোক্তি মতে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার লাকি বাজার হতে চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে শ্রী দূর্গা শিল্পালয়ের স্বর্ণের দোকানদার আসামী শুভ বনিক ও ভানু লাল বনিককে এবং মাতৃ স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক অমিত দেবনাথকে ০৩ ভরি গলানো স্বর্ণসহ গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও পারভীন আক্তার শাহীনুর ওরফে আলপিনা খাতুন গত ১৭ সেপ্টেম্বর’১৬ হতে ২১ সেপ্টেম্বর’১৬ ইং তারিখ সময়ের মধ্যে গুলশানের জনৈক খন্দকার জামিল উদ্দিনের বাসা হতে ২৭ ভরি ওজনের স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের অলংকার চুরি করে পালিয়ে যায়। আলপিনার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার শ্যামগঞ্জ বাজারের স্বর্ণকার কৃষ্ণ চন্দ্র কর্মকার ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার লাকি বাজার হতে সুজন বনিককে গ্রেফতার করে। এসময় সুজন বনিকের হেফাজত হতে ২৫ পিস ডায়মন্ড উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়, পারভীন আক্তার শাহীনুর ওরফে আলপিনা খাতুনের নিকট হতে তারা চোরাই স্বর্ণ ও ডায়মন্ড ক্রয় করেছিল।