গালফ কো অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসি থেকে কাতারকে সরিয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছে বাহরাইন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কাতার যদি সামনের সম্মেলনে অংশ নেয় তাহলে তারা ওই সম্মেলনে যোগ দেবে না। রবিবার মধ্যরাতে কয়েক দফা টুইট বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ আল খলিফা ওই টুইটে বলেন, সৌদি আরব,বাহরাইন,মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেওয়া শর্ত যদি কাতার পূরণ না করে তাহলে জিসিসি থেকে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া উচিত। কেননা যে আঞ্চলিক সহযোগিতার মানসে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার লক্ষ্য,উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি দেশটি।
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একপর্যায়ে অনেকটা স্পষ্ট করেই বলেন, তারা কাতারের সঙ্গে জিসিসির কোন বৈঠকে বসবে না যদি কাতার তাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়। তিনি বলেন, কাতার তাদের বৈরী নীতি ও ব্যাপক মন্দ প্রকৃতির কারণে এ অঞ্চলে সকলের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে। আর এ বাস্তবতা থেকেই এ অঞ্চলের চার দেশ তাদের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে।
এর আগে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেছিলেন, তাদের সার্বভৌমত্ব ‘লাল রেখা’য় এসে উপনীত হয়েছে। আমরা কোনভাবেই আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপকে মেনে নেব না। যখন কেউ বলে যে আল জাজিরার মতো চ্যানেলকে বন্ধ করে দেওয়া হবে তখন আমাকে বলতেই হবে যে,একদিন ইতিহাস কথা বলবে। সেখানে লেখা থাকবে ৫০,৬০, ৭০বছরের ইতিহাস। নিশ্চয়ই সেখানে লেখা থাকবে কী করে এই অঞ্চলে একটি দেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কাতারের আমিরের এ বক্তব্যের পরই বাহরাইন জিসিসি থেকে কাতারকে বাদ দেওয়ার আহবান জানালো।
গত ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। যদিও এই দাবি অস্বীকার করে আসছে কাতার। তারা বলে আসছে, তাদের ওপর যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে দোষে তারা দুষ্ট নয়। বরং তারা নিজেদের আন্তর্জাতিক রাজনীতির কালো থাবার শিকার বলে দাবি করেছে।