মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল কাতার। কিন্তু তাদের সেই আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সংস্থার সদস্যপদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার এক বক্তৃতায় ন্যাটো জোটের সদস্যপদ লাভের আগ্রহ প্রকাশ করার পর পশ্চিমা সামরিক জোট এ প্রতিক্রিয়া জানাল। কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করা তার দেশের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত লক্ষ্য।
২৯ দেশকে নিয়ে গঠিত ন্যাটো জোটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন চুক্তির ১০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একমাত্র ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটো জোটের সদস্য হতে পারে। তবে তিনি এটাও বলেছেন যে, কাতার হচ্ছে ন্যাটো জোটের মূল্যবান ও দীর্ঘদিনের অংশীদার।
কাতারের ওপর সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইনের অবরোধ আরোপের এক বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালেদ বিন মোহাম্মাদ আল আতিয়া ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ন্যাটো জোটের বাইরে এই জোটের প্রধান সহযোগী দেশ হচ্ছি আমরা… কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এই সামরিক জোটের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করা। ন্যাটোর সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা শক্তিশালী হচ্ছে এবং আমাদের লক্ষ্য অত্যন্ত পরিষ্কার।
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশ ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে। দেশটির সঙ্গে জল, স্থল এবং আকাশসীমায় যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। সন্ত্রাসবাদে সহায়তা ও অর্থ প্রদানের অভিযোগ এনে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়। কিন্তু কাতার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।