কাতারের আমির শেইখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি বলেছেন, জনগণের জন্য ওষুধ ও খাদ্য সংগ্রহের একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। সৌদি আরবসহ চারটি আরব দেশের অবরোধের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, “ইরান হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশি দেশ। এ কারণে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলোর চেয়েও ইরানের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক বেশি জোরালো।”
কাতারের আমির বলেন, সৌদি আরবসহ চারটি আরব দেশ কাতারের শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অতীতেও সৌদি আরব কাতারের সরকারে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কাতারে তালেবানের দপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
কাতারের আমির বলেন, “আমরা সৌদি আরবসহ চারটি আরব দেশের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার পক্ষে। এ লক্ষ্যে সরাসরি আলোচনা করতেও রাজি আছে দোহা। তবে কাতারের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর। এসব দেশ কাতারের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশ পথেও সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।