সৌদি নেতৃত্বাধীন চার দেশের জোট কাতারের বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং আইনগত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে । কাতার অবরোধ প্রত্যাহারে জোটের দেওয়া ১৩ শর্ত পূরণে অস্বীকিৃতি জানিয়ে নিজেদের সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্টতাই প্রমাণ করেছে বলে জানিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন চার দেশের জোট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবর থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
অবরোধ প্রত্যাহারে কাতারকে ১৩ দফা শর্ত দিয়েছিল সৌদি জোট। মঙ্গলবার কুয়েতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শর্তের ব্যাপারে নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরে কাতার। সেই আনুষ্ঠানিক জবাব পর্যালোচনা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) মিসরে আলোচনায় বসে সৌদি জোট। ওই বৈঠকেই কাতারবিরোধী অবরোধ অব্যাহত রাখা এবং পরবর্তীতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের তরফ থেকে। পরে এক যুক্ত বিবৃতিতে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিসর আর বাহরাইন জানিয়েছে, ওই ১৩ শর্ত পূরণে কাতারকে বাধ্য করতে এবার কাতারের বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং আইনগত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তারা।
বুধবার সকালে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে দোহার সরবরাহকৃত জবাব হাতে পাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। খানিক বাদে সৌদি নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যথাসময়ে কাতারের কাছে জবাব পৌঁছে যাবে।‘ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এক বিবৃতির মাধ্যমে কাতারের দেওয়া জবাবের প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায় সৌদি জোট। সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর আর বাহরাইনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরবরাহকৃত উত্তর পর্যালোচনা করে তারা সংকট নিরসনের ব্যাপারে কাতারের সদিচ্ছার অভাব লক্ষ্য করেছেন।
পরে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কাতার নিজের অবস্থানে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ধ্বংসের চেষ্টা করছে। ‘চার দেশের অধিকার, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থ সংরক্ষণে কাতারের বিরুদ্ধে সব রকমের রাজনৈতিদক-অর্থনৈতিক এবং আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সৌদি জোট জানায়, তাদের শর্তের ব্যাপারে কাতারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আরব দেশগুলো হতাশ। ওই দেশগুলোর কূটনীতিকরা বলছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতির তাৎপর্য অনুধাবনে কাতার ব্যর্থ হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি কাতারের বোধদয় হবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’ আর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যথাসময়ে কাতারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সেই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রাতে সেই ঘোষণা মোতাবেক সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন আর আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দেওয়া হয়।