সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করে প্রায় সাত মাস কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ অব্যাহত রাখার মধ্যেই এবার দেশটির সঙ্গে স্থলসীমান্ত স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিল সৌদি আরব।
প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশ বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের সঙ্গে যৌথভাবে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কাতারই সৌদি আরবের সঙ্গে স্থলসীমান্ত দিয়ে যুক্ত। অবরোধের অংশ হিসেবে স্থলসীমান্ত বন্ধ রাখার মধ্যেই এবার তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিল সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের কাস্টমস অধিদপ্তর এক চিঠিতে মঙ্গলবার জানিয়েছে, কাতারের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগের সালওয়া প্রবেশদ্বার সোমবার রাত থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হলো। চিঠিতে বলা হয়েছে, সৌদি প্রশাসন সীমান্ত প্রবেশদ্বার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও ইরানকে সহযোগিতা করার অভিযোগে উপসাগরীয় চার দেশ ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই সপ্তাহ পর সীমান্ত প্রবেশদ্বার প্রথম বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব। তবে তাদের বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে দোহা।
কাতারি হাজিদের হজ পালনের সুবিধার্থে আগস্ট মাসে দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্ত প্রবেশদ্বার খুলে দেয় সৌদি প্রশাসন। তখন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহিম আল-থানি ওই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান কিন্তু তিনি দাবি করেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সীমান্ত প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার বিষয়টি দোহা প্রশাসন সাদরে গ্রহণ করলেও কাতারের নাগরিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখেছিল এবং দাবি করেছিল, পুরো অবরোধ তুলে নিতে হবে।
চার দেশ সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেওয়ার পর স্থল ও আকাশপথে কাতারে এবং কাতার থেকে সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় এবং তাদের আকাশসীমায় কাতার এয়ারওয়েজের সব ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে কূটনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে কুয়েতে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলন সংক্ষেপে শেষ করতে হয়। এ ছাড়া অবরোধের অংশ হিসেবে ওই চার দেশ থেকে কাতারের সব নাগরিককে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কিন্তু কাতার ওইসব দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।