বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, কাতার বাংলাদেশে এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং বাংলাদেশে এলএনজি রফতানির আগ্রহের প্রকাশ করেছে। এছাড়া, পায়রা, মাতারবাড়িসহ দেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি কাতে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায় দেশটি। বুধবার সচিবালয়ে কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী সাদ শেরিদা আল কাবি’র নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এর আগে জ্বালানি খাতে কাতার-বাংলাদেশের সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের ৮ সদেস্যর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব¡ দেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং কাতারের ৮ সদেস্যর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ শেরিদা আল কাবি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহামেদ আল-দেহাইনি, কাতার গ্যাসের পরিচালক আলা আবু যবারা, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমীন হাওলাদার, রূপান্তরিত প্রকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, কাতার বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তিনি বিনিয়োগের ক্ষেত্র বাড়ানোর জন্য বিদ্যমান সমঝোতা চুক্তির ব্যাপ্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন এবং স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল ও এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র খোঁজার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনার উপর গুরুত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জ্বালানি সহযোগিতার মাধ্যমে ভ্রাতৃপ্রতিম এই দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। এলএনজি বা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করায় কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিপু বলেন, কাতারের বিনিয়োগ আরো বড় আকারে দেখতে চাই। চুক্তিতে বিদ্যমান এলএনজির মূল্য পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, হেনরি হাব মার্কেটের সাথে সমন্বয় করে মূল্য নির্ধারণ করা যেতে পারে। আলোচনাকালে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সার্বিক অবস্থা ও সম্ভাব্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র নিয়ে আলোকপাত করেন।