কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আহমেদ আল সাবাহ সতর্ক করে বলেছেন, কাতার সংকট যেভাবে অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে এতে করে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা জিসিসি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
মঙ্গলবার কুয়েতের পার্লামেন্টে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের ইচ্ছা এবং আশাকে বাইরে রেখেই উপসাগরীয় সংকট দিনে দিনে প্রকট হয়ে উঠছে। তাই আমাদের প্রত্যেককেই এর পরবর্তী ফল নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ সাবাহ আহমেদ আল সাবাহ বলেন, সংকট যে দিকে এগুচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে এটি সামনে কমার চেয়ে আরো বাড়বে। তেমনটি হলে এক্ষেত্রে যদি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ আসে তাহলে তা হবে উপসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকিস্বরুপ।
ছয়টি সদস্য দেশ নিয়ে ১৯৮১ সালে এই সহযোগিতা সংস্থাটি গড়ে উঠে। দেশগুলো হচ্ছে: বাহরাইন,কুয়েত,কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কাজেই বিপরীতমুখী কোন কিছু হলে তার প্রভাব এই ছয় দেশের ওপর পড়তে বাধ্য।
তিনি বলেন, কাতার সংকটের কারণে জিসিসির ভবিষ্যৎ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। শেখ সাবাহ জোর দিয়ে বলেন, কুয়েত যে মধ্যস্থতা করছে তা উপসাগরীয় দেশসমূহের প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, জিসিসি হচ্ছে সেই বাতিঘর যা এ অঞ্চলের অন্ধকার দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
কুয়েতের আমির বলেন, জিসিসির ভাঙ্গনের অর্থই হল যৌথ আরব সহযোগিতার শেষ কাঠামোর পতন। তিনি বলেন, আমরা যতি অতীত ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো যে এখানে কোন সংকটকে আহবান জানানো কিংবা জিইয়ে রাখার অর্থই হল তাকে ধ্বংস করে দেওয়া।
উল্লেখ্য কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ এনে দেশটির ওপর আকাশ, নৌ, স্থল পথে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। অবশ্য কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির নোংরা খেলার শিকার।
কাতার জানায়, তাদের বিরুদ্ধে যেসব নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে সত্যিকার অর্থে এর কোন ভিত্তি নেই। বরং এসব একটি দেশের সার্বভৌমত্বকেই প্রকারান্তরে লঙ্ঘন করছে।