তেলাপোকাটি কানের ভেতর থেকে বের করার জন্য তিনি প্রথমে আঙুল দিয়েই চেষ্টা করেন। এতে কাজ না হওয়ায় বাদামের তেল ঢেলে দেন কানে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তেলাপোকাটি বের করা সম্ভব হয়নি।
কানে বাদামের তেল ঢেলেও অবশ্য কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় তাকে। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি করে ফেলেছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, তেলাপোকাটি ইতোমধ্যেই তার কানের পর্দা খেয়ে ফুটো করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ‘তেল দেওয়ার পর তেলাপোকাটি কানের ভেতর নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়। এরপর সময় না থাকায় আমি নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। শেষ পর্যন্ত দুই দিন পর আমি হাসপাতালে যাই।’
হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, তেলাপোকাটি কানের ভেতর ঢুকে পর্দায় পৌঁছে গেছে। সেখানে পর্দার কিছু অংশ খেয়েও ফেলেছে তেলাপোকাটি।
তবে পোকামাকড় কানের ভেতর প্রবেশ করা মোটেই অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গড়ে প্রতি দুই মাসে এ ধরনের একটি করে ঘটনা পান বলে জানান ডাক্তার হুয়াং ড্যানউয়ান।
একতলা বাসায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যারা ঘুমান তাদের মাঝে এমনটা বেশি দেখা যায় বলেও জানান ওই চিকিৎসক।
শুধু চীনেই যে এমন ঘটনা ঘটেছে তা নয়। গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতেও একই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এরপর তার কানে কীটনাশক দিয়ে পোকাটি মেরে তা বের করেন চিকিৎসকরা।