তালিবানরা আফগানভূমি দখলের পর ২০ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি। অবশেষে দেশে ফিরল মার্কিন সেনা। আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করল আমেরিকা। পূর্ব ঘোষণা মতোই ৩১ অগাস্টের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিল আমেরিকা৷
ওয়াশিংটন এবং ন্যাটোর দেশগুলিকে আগাম পরিকল্পনা ছাড়াই আফগান প্রদেশ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।। এমন অশান্ত পরিবেশে পশ্চিমী শক্তিকে সাহায্য করা শয়ে শয়ে আফগানীকে তালিবানি ঘেরাটোপের মধ্যেই রেখে গেল আমেরিকা। এদিকে, মার্কিন সেনা দেশ ছাড়ার পরই রীতিমতো উৎসবের মেজাজে কাবুল।
সোমবার আল জাজিরা টিভির রিুপোর্ট অনুযায়ী তালিবান মুখপাত্র Qari Yusuf বলেছেন: “শেষ মার্কিন সেনা কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করা মাত্র পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করল আমার দেশ।”
সেনা প্রত্যাহারের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট Joe Biden এক বিবৃতিতে বলেন, আফগানিস্তান ত্যাগ করতে যাঁরা ইচ্ছুক তাঁরা যাতে নিরাপদ দেশ ছাড়তে পারে, তালিবানিদের এই প্রতিশ্রুতির দিকে নজর থাকছে বিশ্বের।
টুইটারে দেশে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ”আফগানিস্তানে আমাদের সামরিক অবস্থানের ইতি হল। বিগত ১৭ দিনে আকাশপথে সবথেকে বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মার্কিন বাহিনী ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশ মার্কিন নাগরিক, সহকারী দেশের নাগরিক ও আমেরিকার আফগান সহকারীদের উদ্ধার করেছে যা আমেরিকার ইতিহাসে বৃহৎ। মার্কিন সেনা অসম্ভব সাহসিকতা, দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্বের ছাপ রেখেছে।”
বাইডেন কর্তৃক নির্ধারিত মঙ্গলবারের সময়সীমার আগে শেষ হয় অপারেশন। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় দলে তরফেই তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, তালিবানের তরফে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল ৩১ অগাস্টের পর আফগানিস্তানে আমেরিকা সহ কোনও বিদেশি বাহিনীর থাকা চলবে না৷ তালিবানদের সঙ্গে চুক্তির শর্ত মেনেই শুধু সামরিক বাহিনী ফিরিয়ে নেওয়াই নয়, আফগান প্রদেশ থেকে কূটনৈতিক উপস্থিতিও বন্ধ করে দিল আমেরিকা।