ডিএমপি নিউজঃ বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকায় কাভার্ড ভ্যান থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার। এ ঘটনার সাথে জড়িত তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের নাম, ড্রাইভার মোঃ মামুন বেপারী (৩৩), মোঃ শাহাজাহান (৩২), ও মোঃ আনোয়ার (২২)।
১৯ নভেম্বর দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সূত্রে সংবাদ পায় যে, কক্সবাজার টেকনাফ হতে একটি মাছ ভর্তি কাভার্ড ভ্যানে করে বিশেষভাবে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢাকায় পাচার করার উদ্দেশ্যে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বাকলিয়া থানার নতুন ব্রীজ পুলিশ বক্সের সম্মুখে চেকপোষ্ট বসায় পুলিশ। চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশী করার সময় রাত ০১ টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি কাভার্ড ভ্যানকে থামার জন্য সংকেত দেয় পুলিশ। পুলিশের সংকেত পেয়ে কাভার্ড ভ্যানটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে চেকপোষ্ট অতিক্রম করে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশও কাভার্ড ভ্যানটির পিছু ধাওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে নতুন ফিশারীঘাট বাজার এলাকায় কাভার্ড ভ্যানটি থামাতে সক্ষম হয় পুলিশ। কাভার্ড ভ্যানটির ভেতরে তল্লাশী চালিয়ে ২০টি কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো প্যাকেটে ০১ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১৩০টি ককসিটের বরফযুক্ত মাছভর্তি কার্টুন উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে ইয়াবা বহনকারী কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সংঘবদ্ধ ইয়াবা পাচারকারী সদস্যরা ইয়াবা পাচারের কৌশল পরিবর্তণ করে নিজেরা ২/১টি কাভার্ড ভ্যান ক্রয় করে ট্রান্সপোর্টের মালিক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে। কাভার্ড ভ্যান গুলোর বডি তৈরি করার সময় ইয়াবা পাচার করার জন্য মিস্ত্রি দিয়ে গোপন চেম্বার তৈরি করে। কক্সবাজার, টেকনাফ ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও অন্যান্য শহরে কৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট পরিবহনের সময় যেন ধরা না পরে সে জন্য পঁচনশীল দ্রব্য মাছ বহন করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যানের মালিক অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচারের জন্য কাভার্ড ভ্যানের ভিতরে গোপনীয় স্থান তৈরী করে। কাভার্ড ভ্যানের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন বাবু ও গ্রেফতারকৃত তিনজনের মাধ্যমে টেকনাফ হতে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় করে ঢাকা নিয়ে বিক্রি করত।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে।