নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের স্বীকৃত হলেও আর্মেনিয়া প্রায় ৩ দশক ধরে তা দখল করে রাখে। শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় হওয়া শান্তিচুক্তির মাধ্যমে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় আর্মেনিয়া। একে ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছে আজারবাইজান।
চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধে পুনরুদ্ধার হওয়ায় ভূখণ্ড এবং নাগরনো-কারাবাখের আশপাশের দখলকৃত জেলাগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে আজারবাইজানের কাছে হস্তান্তর করবে আর্মেনিয়া। নাগরনো-কারাবাখে মোতায়েন থাকবে রুশ শান্তিরক্ষী।
অন্যদিকে আজারবাইজানের নাগরনো-কারাবাখে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে তুর্কি সেনা মোতায়েনের একটি প্রস্তাব পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।
আনাদলু এজেন্সি জানায়, ক্ষমতাসীন একে পার্টির বাইরে প্রধান বিরোধী দল সিএইচপিসহ তিনটি বিরোধী এবং এমএইচপি ও গুড পার্টিও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া ও তুরস্ক যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করবে। এরই অংশ হিসেবে সেখানে সেনা পাঠাচ্ছে তুরস্ক। যুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন দিয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।