তামিল নাড়ুর ততিকোরিন বন্দরে সেই কাজে নেমেছে ‘কার্বন ক্লিন সলিউশন’ সংস্থা। সংস্থার অপারেশনাল ম্যানেজার জ্ঞানেশ রেড্ডি বলছেন, বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড টেনে নিয়ে তা দিয়ে বানোনো হচ্ছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। আর এই সোডিয়াম কার্বনেট দিয়েই তৈরি হচ্ছে সস্তায় রাসায়নিক সার, সিনথেটিক ডিটারজেন্ট ও নানা রকমের রং। একই কাজ করে চলেছে ব্রিটিশ সংস্থা ‘ইকোনিক টেকনোলজিস’ ও কানাডার সংস্থা ‘কার্বন কেয়ার টেকনোলজিস’। বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড টেনে নিয়ে প্লাস্টিক বানাচ্ছে সংস্থাটি। সংস্থাটির দাবি, এর ফলে প্রতি বছর বাতাসে মেশা অন্তত ৩৫ লক্ষ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে ফের বাতাস থেকে টেনে নেওয়া যাবে। বাতাস কিছুটা বিষমুক্ত হবে। রাস্তা থেকে পেট্রোল, ডিজেল চলা ২০ লক্ষ গাড়ি তুলে নেওয়া হলে এই পরিমাণ কার্বন-ডাই- অক্সাইডের পরিমাণ কমবে বলে তাদের আশাবাদ।
কানাডার কার্বন কিওর টেকনোলজিস এই কাজটাই করছে রাস্তার কংক্রিটকে আরও শক্তপোক্ত করে তোলার জন্য। সংস্থাটি তরল কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে কংক্রিটের মশলার মধ্যে সরাসরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তার ফলে তৈরি হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট। যা কংক্রিটকে আরও ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি মজবুত করে তুলছে। একই কাজ করছে আরও একটি বিদেশি সংস্থা কার্বন ইঞ্জিনিয়ারিং। সংস্থাটি বাতাসে মেশা কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে ওই বিষাক্ত গ্যাস দিয়েই বানাচ্ছে ডিজেল আর বিমানের জ্বালানি।
ইকোনিক টেকনোলজিসের দাবি, তারা ২০২৬ সালের মধ্যে বাতাস থেকে প্রতি বছর বড় জোর ৩৫ লক্ষ টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস টেনে নিতে পারবে। আর কার্বন কিওর সংস্থাটির প্রযুক্তি অনুসরণ করলে বিশ্বের কংক্রিট নির্মাণকারী সংস্থাগুলি প্রতি বছরে ৭০ কোটি টন বিষাক্ত গ্যাস বাতাস থেকে টেনে নিতে পারবে।