ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌ-পথের যাত্রীদের জন্য লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে আগামী ৩০ মে থেকে। কাল থেকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এছাড়া ঈদের সাতদিন আগে থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেলসহ ভারী মালামাল বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর সদরঘাটে ঢাকা নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে লঞ্চ মালিকদের ঈদ প্রস্তুতিমূলক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম. মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক আবু জাফর হাওলাদার, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা জেলা (দক্ষিণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল ও ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দীর প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, সোমবার থেকে টার্মিনাল ভবনের টিকিট কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতকারী বেশ কয়েকটি লঞ্চের যাত্রীদের হয়রানি রোধ ও সুবিধার্থে আগামীকাল থেকে অনলাইনেও টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদের সময় যাত্রীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে বন্দর সমন্বয় কমিটির প্রয়োজনবোধে ৩০ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে। ১৪ টি প্রবেশ পথ ও গ্যাংওয়েতে যাত্রী নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধান দপ্তর হতে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া ঈদে যাত্রীদের লঞ্চের অবস্থান জানানোর জন্য বাটা ক্রসিং থেকে লালকুঠি এবং ওয়াইজঘাট পর্যন্ত মাইকিং ব্যবস্থা রাখা, ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় পকেটমার, অজ্ঞান পার্টি এবং ছিনতাইকারীসহ অন্য কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যেন যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।