ব্রণ প্রচলিত একটি সমস্যা। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ বেশি হয়। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরও অনেকের ব্রণ হতে পারে। ব্রণ হওয়ার প্রধান তিনটি কারণের বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণ কী?
উত্তর : আসলে ব্রণ সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে বেশি হয়। শতকরা ৮৫ ভাগ বয়ঃসন্ধি ব্রণে আক্রান্ত। আসলে ব্রণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের প্রয়োজন হয় না। রোগী নিজেই বলতে পারেন। ব্রণ কেন হচ্ছে? বয়ঃসন্ধিতে আমাদের দেহের হরমোন, হঠাৎ করে বেড়ে যায়। একজন শিশুকে পূর্ণ বয়স্ক নারী বা পুরুষে পরিণত করতে যে হরমোনগুলো দরকার, সেগুলো হঠাৎ করে বেড়ে যায়। এই হরমোনের প্রভাবে ব্রণ হয়।
আরেকটি কারণ হলো বংশগত। বংশে ব্রণ থাকলে, মা-বাবার কারো থাকলে, সন্তানের ব্রণ হতে পারে। আরেকটি কারণ হলো, আমাদের শরীরে অনেক তৈলাক্ত গ্রন্থি রয়েছে। আপনি খেয়াল করবেন বাচ্চা বয়সে কিন্তু মুখে তেল থাকে না, তেমন একটি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিতে আসার পর মুখ থেকে প্রচুর তেল বের হয়। মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায়। এই তৈলাক্ত গ্রন্থির মুখে যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তাহলে তেলটা বের হতে পারে না। ভিতরে গুটি আকারে হয়ে যায়। এজন্য ব্রণ হয়। তাহলে ব্রণের মূল কারণ তিনটি। খবর এনটিভি।