যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার এর ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার শুরু করেছে। সোমবার যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে এমন ২০টি দেশ শতাধিক রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
যুক্তরাজ্যে পক্ষত্যাগী প্রাক্তন রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার কন্যাকে রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার জেরে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের এ হিড়িক পড়েছে। একযোগে এতো রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা ইতিহাসে এটাই প্রথম।
রাশিয়া একে ‘প্ররোচনামূলক ইঙ্গিত’ বলে মন্তব্য করেছে। একইসঙ্গে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের মাটিতে রাশিয়ার প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার এবং বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার চলমান অস্থিতিশীল কর্মকান্ডের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এর ন্যাটো ও অন্যান্য মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে মিলিতভাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।’
রাশিয়াই স্ক্রিপাল ও তার কন্যাকে রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগে হত্যাচেষ্টা করেছিলেন বলে গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা ঐক্যমতে পৌঁছান।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের শাসন আমাদের যৌথ মূল্যবোধ ও আমাদের আঞ্চলিক ও এর ভেতরের স্বার্থের ওপর আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এই হুমকিকে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে স্বাধীন ইউরোপীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য ইইউ ও ন্যাটোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।’
চলতি মাসের প্রথম দিকে ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল যুক্তরাজ্য। এবার এর মিত্র যেসব দেশ রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে,- যুক্তরাষ্ট্র: ৬০ জন, কানাডা: ৪ জন, আলবেনিয়া: ২ জন, অস্ট্রেলিয়া: ২ জন, নরওয়ে: ১ জন।
ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে– ফ্রান্স: ৪ জন, জার্মানি: ৪ জন, পোল্যান্ড: ৪, চেক প্রজাতন্ত্র: ৪ জন, লিথুনিয়া: ৩ জন, ডেনমার্ক: ২ জন, নেদ্যারল্যান্ডস: ২ জন, ইতালি: ২ জন, স্পেন: ২ জন, ইস্তোনিয়া: ১ জন, ক্রোয়েশিয়া: ১ জন, ফিনল্যান্ড: ১জন, হাঙ্গেরি: ১জন, লাটভিয়া: ১ জন, রোমানিয়া: ১ জন, সুইডেন: ১ জন ও ইউক্রেন: ১৩ জন।