নেপাল ও উত্তরাখণ্ডের পর এবার আন্দামান-নিকোবর। বৃহস্পতিবার ভোরে কেঁপে উঠল পোর্ট ব্লেয়ার। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪.৩। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে ভূমিকম্পের উৎসস্থল মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে। সংস্থার একটি টুইটে লেখা হয়েছে, “ভূমিকম্পের মাত্রা ৪.৩, ১০ তারিখ ভারতীয় সময় ০২:২৯:৩৬ মিনিটে, ৯.৪৫অক্ষাংশ এবং৯৩.৪৪ দ্রাঘিমাংশ, গভীরতা ১০কিমি নীচে, অবস্থান পোর্টব্লেয়ার, আন্দামান, ভারত।” তবে এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পের কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
বুধবার ভোরে কেঁপে ওঠে ভারতের উত্তরাখণ্ড। সকাল ৬.২৭ মিনিট নাগাদ ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে উত্তরাখণ্ডে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা যায় ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল পিথোরাগড়। চার দিন আগেও উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে ৬ নভেম্বর সকাল ৮.৩৩ মিনিটে উত্তরাখণ্ডের তেহরিতে ৪.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দিল্লি-এনসিআর-এর বাসিন্দারাও এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করেছিল।
অন্যদিকে, বুধবার ভোররাতে নেপালে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এএনআই-সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৬। এছাড়াও পাঁচ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ধস নেমে কয়েক ডজন ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং এর আশেপাশের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়।
এই প্রথম নয় এর আগে ১৯ অক্টোবর, ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কাঠমান্ডু। তবে নেপালে সবথেকে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় ১৯৩৪ সালে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮.০। কাঠমান্ডু, ভক্তপুর এবং পাটান শহর ধ্বংস হয়ে যায় এই ঘটনায়।–জি নিউজ