কেস ফলোআপঃ ১৬
ডিএমপি নিউজঃ ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ তারিখ ২৬/০২/২০১৫ ইং রাত অনুমান ২০.৩০ টা
ঘটনাস্থলঃ শাহবাগ থানাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের উত্তর পূর্বে রাস্তার ফুটপাতের ওপর।
বাদীঃ ড. অজয় রায় (অভিজিতের বাবা)
মামলা নাম্বার ও তারিখঃ শাহবাগ থানার মামলা নং-৫১ তারিখঃ ২৭/০২/২০১৫ ইং।
ধারাঃ ৩০২/৩২৬/৩২৪/৩০৭/৩৪ পিসি।
তদন্তকারী সংস্থাঃ কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ডিএমপি, ঢাকা।
অভিযোগ পত্রঃ শাহবাগ থানার অভিযোগ পত্র নং-৫৩, তারিখঃ ১৮/০২/২০১৯ ইং।
ধারাঃ সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর ৬ (১), (ক), (অ)/৬(২)/৮/৯/১০/১২/১৩
মোট অভিযুক্তঃ ১২ জন ।
আলামতঃ ৩০ টি ।
মোট সাক্ষীঃ ৩১ জন ।
মোট নিহতঃ ০১ জন।
মোট আহতঃ ০১ জন।
ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিঃ ০৩ জন।
এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
অত্র মামলার বাদী থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, তার পুত্র অভিজিত রায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাবা মাকে দেখার জন অভিজিৎ রায় তার স্ত্রীসহ ঢাকা আগমন করেন। একুশে বইমেলায় তার দুইটি বই প্রকাশিত হয়। এ উপলক্ষে মাঝে মাঝে বই মেলায় যায়। গত ২৬/০২/২০১৫ খ্রিঃ সন্ধ্যা ০৬.৩০ টায় বই মেলায় যায়। মেলা থেকে ফেরার সময় আনুমানিক রাত ০৮.৩০ টায় টিএসসি চত্বরের সামনে এক বা একাধিক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক অভিজিত রায় ও তাঁর সহধর্মিনী বন্যা আহমেদকে চাপাতি দিয়ে মাথার পিছনে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। সাথে সাথেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং তার মাথার পিছনে খুলি ভেঙ্গে মগজ বেরিয়ে আসে। তার সহধর্মিনী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে সেও গুরুতরভাবে আহত হন। পথচারীরা তাদের দুজনকে সিএনজি যোগে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী শাখায় নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত অনুমান ১০.৩০ টায় অভিজিৎ রায় মারা যান।
তদন্তঃ
বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। দীর্ঘ তদন্তে অত্র মামলার ঘটনার সাথে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর ১২ জন সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও ৫ জনের সঠিক নাম ঠিকানা উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের সঠিক পরিচয় উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। সনাক্তকৃত ০৭ জনের মধ্যে ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ০৩ জন বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। ০২ জন পলাতক আছেন ও ০১ জন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। যে ০৫ জনের সঠিক পরিচয় উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি পরবর্তী সময়ে তাদের সঠিক নাম ঠিকানা পাওয়া গেলে অথবা গ্রেফতার করা সম্ভব হলে তাদের বিরুদ্ধে অত্র মামলার সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিল করা হবে।
গ্রেফতারকৃত ০৪ জন হলেনঃ
১। মোঃ আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব)
২। মোজাম্মেল হুসাইন সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার)
৩। মোঃ আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম, সাজ্জাদ, শামস্)
৪। শাফিউর রহমান ফারাবী
পলাতকঃ
১। সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে বড় ভাই)
২। মোঃ আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ
অভিযানের সময় নিহতঃ
১। মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী
অসনাক্তকৃত ও অগ্রেফতারকৃত ০৫ জন যারা নিম্নবর্ণিত নামে নিজেদের মধ্যে পরিচিত ছিলো তারা হলোঃ
১। সেলিম
২। হাসান
৩। আলী ওরফে খলিল
৪। আনিক
৫। অন্তু
মামলার বর্তমান অবস্থাঃ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্তরা হলো- ১। সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে বড় ভাই)
২। মোঃ আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব)
৩। মোজাম্মেল হুসাইন সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার)
৪। মোঃ আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম, সাজ্জাদ, শামস্)
৫। মোঃ আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তের নাম- শাফিউর রহমান ফারাবী