কেস ফলোআপঃ ১৮
ডিএমপি নিউজঃ ব্লগার নাজিম উদ্দিন হত্যা মামলার কেস ফলোআপ
ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ তারিখ ০৬/০৪/২০১৬ ইং রাত অনুমান ২০.৩০ টা
ঘটনাস্থলঃ সূত্রাপুর থানার একরামপুর মোড়ের ৩৬ ঋষিকেষ দাস রোড সূবর্ণা টেইলার্স এর সামনে রাস্তার উপর।
বাদীঃ এসআই মোঃ নুরুল ইসলাম, সূত্রাপুর থানা, ডিএমপি, ঢাকা।
মামলা নাম্বার ও তারিখঃ সুত্রাপুর থানার মামলা নং-০২ তারিখঃ ০৭/০৪/২০১৬ ইং।
ধারাঃ ৩০২/৩৪ পিসি।
তদন্তকারী সংস্থাঃ কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ডিএমপি, ঢাকা।
অভিযোগ পত্রঃ সূত্রাপুর থানার অভিযোগ পত্র নং-১১৭, তারিখঃ ১৮/০৮/২০২০ ইং।
ধারাঃ সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর ৬ (১), (ক), (অ)/৬(২)/৮/৯/১০/১২।
মোট অভিযুক্তঃ ০৯ জন ।
আলামতঃ ১২ টি ।
মোট সাক্ষীঃ ১৭ জন ।
মোট নিহতঃ ০১ জন।
এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
ভিকটিম নাজিম উদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধ্যাকালীন শিফটে এল এম এম ১ম বর্ষের ছাত্র। গত ০৬/০৪/১৬ খ্রিঃ ভিকটিম নাজিম উদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে রাত অনুমান ২০.৩০ টার সময় পায়ে হেটে বর্তমান বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত অনুমান ২০.৩০ টার সময় সূত্রাপুর থানার একরামপুর মোড়ের ৩৬ ঋষিকেষ দাস রোড সূবর্ণা টেইলার্সের সামনে পৌঁছালে ৪/৫ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রসহ পিছন দিক হতে আসিয়া অতর্কিতভাবে নাজিম উদ্দিনের মাথায় কোপ মারলে নাজিম উদ্দিন রাস্তার উপর পড়ে যায়। অতঃপর দুস্কৃতিকারীরা নাজিম উদ্দিনের মাথায় আরো কয়েকটি কোপ মারে এবং গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা রুজু হয়।
তদন্তঃ
চাঞ্চল্যকর মামলাটি প্রথমে তদন্ত শুরু করে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। পরে মামলাটির তদন্তভার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্তে ব্লগার নাজিম উদ্দিন হত্যার পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়াসহ ১২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী সহ ০৫ জন অভিযুক্ত পলাতক আছে। অপর ০৩ জন অভিযুক্তের (সেলিম, জনি ও হাসান) শুধুমাত্র সাংগঠনিক নাম জানা যায়, পূর্নাঙ্গ নাম ঠিকানা উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে তাদের পূর্নাঙ্গ নাম ঠিকানা পাওয়া গেলে অথবা গ্রেফতার করা সম্ভব হলে তাদের বিরুদ্ধে অত্র মামলার সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিল করা হবে।
গ্রেফতারকৃত ০৪ জন হলেনঃ
১। মোঃ রশিদুন নবী ভূইয়া (২৬)। (সাংগঠনিক নাম-টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান)
২। মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫)।(সাংগঠনিক নাম-শাহরিয়ার)
৩। মোঃ আরাফাত রহমান(২৪)। (সাংগঠনিক নাম-সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস)
৪। মোঃ শেখ আব্দুল্লাহ (২৭)।(সাংগঠনিক নাম-জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের)
পলাতকঃ
১। সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) (সাংগঠনিক নাম-সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে ইশতিয়াক)
২। মোঃ ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন
৩। সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক
৪। মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের
৫। আকরাম হোসেন (সাংগঠনিক নাম-আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ)
অসনাক্তকৃত ও অগ্রেফতারকৃত ০৩ জন যারা নিম্নবর্ণিত নামে নিজেদের মধ্যে পরিচিত ছিলো তারা হলোঃ
১। সেলিম
২। জনি
৩। হাসান
মামলার বর্তমান অবস্থাঃ মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।