জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে তৃতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। ইনিংস ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিনি ২০৩ রানে অপরাজিত থাকলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০১৮ সালে এই মিরপুরেই মুশফিক খেলেছিলেন ২১৯ রানের অনবদ্য ইনিংস। মি. ডিপেন্ডবলের ডাবল হওয়ার পরেই ৫৬০ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেন মুমিনুল। ফলে ২৯৫ রানের লিড পায় টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই টপাটপ জিম্বাবুয়ের দুই তুলে নেন নাইম হাসান। ফলে তৃতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯/২।
আজ সকাল থেকেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন গতকালের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম। দিনের প্রথম সেশনেই ক্যারিয়ারর ৯ম এবং অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। এজন্য তিনি খেলেছেন ১৫৬ বল, হাঁকিয়েছেন ১২টি বাউন্ডারি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে ফিফটি করে ফেলেন মুশফিকও। দ্রুত ঘুরতে থাকে রানের চাকা। ৯৯* রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চে গিয়েছিলেন মুশফিক। মাঠে ফিরেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি। তিনি খেলেছেন ১৬০ বল, হাঁকিয়েছেন ১৮টি বাউন্ডারি।
মুমিনুলের বিদায়ে ২২২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির অবসান হয়। ২৩৪ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ১৩২ রানের ইনিংস উপহার দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। যিনি এই টেস্টে সেঞ্চুরি করার কথা দিয়েছিলেন সাংবাদিকদের। মুশফিক এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। এর মাঝে মোহাম্মদ মিঠুন ১৭ রানে আউট হয়ে যান। লিটন দাসের সঙ্গে জুটি জমে ওঠে মুশফিকের। ৯৫ বলে ৫৩ রান করে লিটন আউট হলে অবসান হয় ১১১ রানের জুটির।
৩ উইকেটে ২৪০ রান তুলে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসের শুরুতেই ভিক্টর নাউচির বলে তরুণ সাইফ ফিরেছেন মাত্র ৮ রান করে। এরপর নাজমুলের সঙ্গে জুটিতে ৭৮ রান আসতেই ডোনাল্ড ত্রিপানোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৮৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করা তামিম ইকবাল। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করা নাজমুল ১৩৯ বলে ৭ চারে ৭১ রানের ইনিংস খেলে টিশুমার শিকার হন। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬৮ রানের জুটিতে দিনের বাকি সময় নির্বিঘ্নে কেটে যায়।