ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে ভারত সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য দিল আইসিসি। সংস্থাটির মতে, অধিকাংশ ম্যাচ ফিক্সিং ভারত সংশ্লিষ্ট। সেই ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএল টি-টোয়েন্টিতে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি’র ধারণা ছিল, এর ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে দুর্নীতি কমে আসতে পারে। কিন্তু না, তা হয়নি বলে জানিয়েছে দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (আকসু)।
আইসিসি’র চলমান ৫০টি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এর অধিকাংশই ভারত সংশ্লিষ্ট। ক্রিকেট বিশ্বের বৃহত্তম দেশটি নিয়ে এমনই এক বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন আকসু’র তদন্ত সমন্বয়ক স্টিভ রিচার্ডসন। তদন্তে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জুয়াড়িদের লক্ষ্য এখন রাজ্যভিত্তিক লিগ ও নিচের সারির সরাসরি সম্প্রচারিত লিগগুলো।
স্পোর্টস ল অ্যান্ড পলিসি বিষয়ক এক অনলাইন সেমিনারে শনিবার (২০ জুন) স্টিভ রিচার্ডসন বলেন, রিচার্ডসন বলেন, ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সবশেষ পর্যায়ে গিয়ে আসে খেলোয়াড়রা। সমস্যা হচ্ছে যারা এই ফিক্সিংটা পরিচালনা করে, যারা খেলোয়াড়দের টাকা দেয় মাঠের বাইরে বসে। আমি এখনই অন্তত ৮ জনের নাম ভারতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে দিতে পারব, যারা প্রতিনিয়ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফিক্সিংয়ের বিষয়ে যোগাযোগ করে।’
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ফিক্সিংকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা ছাড়া পথ নেই বলে জানিয়েছেন রিচার্ডসন, ‘শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে আইন করেছে। যে কারণে এখন লঙ্কান ক্রিকেট আগের চেয়ে সুরক্ষিত। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে আমরা আগেই সতর্ক। ভারতে এমন কোন আইন না থাকায়, আকসু এক হাত বাধা অবস্থায় কাজ করছে।’