ক্রেতা-দর্শনার্থীর পদচারণায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী ‘গৃহায়ন মেলা-২০১৯’। গত সোমবার (৭ অক্টোবর) থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলা শুরু হয়ে চলে আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলাটি সার্বিক ভাবে সফল হয়েছে স্টল মালিকরা দাবি করেছেন।
গৃহায়ণ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসতে প্রথম এই মেলাটির আয়োজন করে গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রণালয়। হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর সার্বিক সহযোগিতায় মেলায় ২৪টি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলাটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো।
গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন ষোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। উদ্বোধনের পর থেকে মেলাটি জমে উঠে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরর অধীনস্থ গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর, হাউজিং এন্ড বিল্ডি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল টিউবসহ বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রিহ্যাব, কনকর্ড রিয়েল স্টেট, মীর আকতার, ইনটেক প্রপার্টিজ লি:, অলিম্পিয়া হোল্ডিং লি. আরএফএল, ইমেক্সকো, অনন্যা গ্রুপসহ আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে।
মেলা সরজমিনে কথা হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ( রাজউক) উপ-পরিচালক ( স্থাপত্য) সুলতানা রাজিয়া দৌলা।
তিনি বলেন, মেলায় মানুষের খুব সারা পাওয়া যাচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে মেলা সফল হয়েছে। সাধারণ মানুষের আবাসন সমস্যা দূর করতে আমাদের এই প্রয়াস। মেলা ছাড়াও কেউ অফিসে গেলে আমরা সার্ভিস দিয়ে থাকি। সকলের জন্য সার্ভিসের পথ খোলা থাকে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, মেলা যত হবে, তত রাজউক সম্পর্কে মানুষের নেগেটিব ধারনা দূর হবে।
স্বল্প জায়গায় সাশ্রয়ী মূল্যে দ্বিতল ভবন তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর গবেষক রাবেয়া খায়ের নীথি।
তিনি বলেছেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে আধুরিক নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ কৌশল উদ্বাবন করা হয়েছে। এগুলো পরিবেশ বান্ধব, কৃষি বান্ধব, দুর্যোগসহনীয়, টেকসই ও ব্যয় সাশ্রয়ী। এছাড়া হাউজিং এর উদ্ভাবিত নির্মাণ প্রযুক্তিসমূহ কৃষি বান্ধব, পরিবেশ বান্ধব এবং দুর্যোগ সহনীয় টেকসই ।
তিনি বলেন, মাটি পোড়া ইট নয় ড্রেজিং মাটির ইট হয়। আমাদের এই গবেষনা কাজ জনগনের কাছে পরিচয় করে দেয়ার জন্য এই স্টল খোলা হয়েছে।
তিনি বলেন,পরিবেশ বান্ধব বাড়ি করার জন্য মানুষের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করে থাকি। স্বল্প জায়গায় সহজ বাড়ি করার বিষয়সহ বাড়ির মাস্টার প্লান ও ডিজাইন আমরা করে দিয়ে থাকি। পরিবেশবান্ধব বিকল্প নির্মাণ উপকরণ এখন বাংলাদেশে একটি ক্রমাবর্ধমান বাজার অর্থনীতি।
রাবেয়া খায়ের বলেন, স্টলে প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। জানতে চাচ্ছেন আবাসন তৈরি করার বিষয়ে। সাধারণ মানুষও আসছেন বিষয়টি জানার জন্য। বিষয়টা খুব ভালো, সচেতনতা তৈরি হচ্ছে গৃহায়ন মেলায় আসা মানুষদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে খুব সারা পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান।