মিসরের ন্যাশনাল ইলেকশন বোর্ড ৩ দিনের গণভোট শেষে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ফলাফলে জানানো হয় মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির ক্ষমতা ২০৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করার পক্ষে দেশটির পার্লামেন্টের পর এবার রায় দিলো জনগণ। এতে মিসরের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৪ বছর থেকে বেড়ে ৬ বছর হচ্ছে। সিএনএন
গত সপ্তাহে মিসরের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী দেশটির পার্লামেন্ট অনুমোদন করার পর তা চূড়ান্ত হওয়ার পথে আর কোনো বাধা রইলো না।
সংশোধিত সংবিধান সিসির ক্ষমতাকে আরো ২ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালে তাকে আবারো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ দিচ্ছে। সিসি দেশটির পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষের নামে একটি মন্ত্রীপরিষদও গঠন করতে পারবেন যেখানে এক তৃতীয়াংশ সদস্যই থাকবে তার মনোনিত। এতে করে তিনি মিসরে প্রায় একক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যাচ্ছেন।
নতুন এই সংশোধনী মিসরের পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষেও পরিবর্তন আনছে। সেখানে আসন সংখ্যা ৫৯৬ থেকে ৪৫০ এ হ্রাস করা হচ্ছে এবং অন্তত ২৫ ভাগ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে। মিসরের বিচার বিভাগও কার্যত প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। দেশটির আদালতের বিচারপতিদেরও এখন থেকে প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেবেন।
গণভোটের রায়ে সিসির বিস্ময়কর বিজয় দেখানো হলেও এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগও রয়েছে। পার্লামেন্টে স্বল্প সংখ্যক বিরোধী এমপিদের একজন আহমেদ আল-তানতাওয়ী বলেন, সিসির সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিতে প্রশাসনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এবং টাকার বিনিময়ে ভোট কিনেও নেয়া হয়েছে।