সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার দায়ে সৌদি আরবের পাঁচ সরকারি কর্মকর্তা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের প্রসিকিউটর বলেছেন, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে জামাল খাশোগির খুনের সঙ্গে জড়িত ওই পাঁচজনের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সৌদি আরবের প্রসিকিউটর এক বিবৃতিতে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজার ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৭ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তিনি বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহের জন্য গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ।
সাংবাদিক জামাল খাগোশিকে কীভাবে হত্যা করা হয়, সেসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছিল প্রসিকিউটরের কার্যালয়। এতে বলা হয়, প্রথমে শ্বাসরোধে তাকে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তবে তার মরদেহ কোথায় রয়েছে সেব্যাপারে কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত জানায়নি সৌদি।
খাশোগিকে দেশে ফেরত আনতে সৌদি গোয়েন্দাবাহিনীর উপ-প্রধান জেনারেল আহমেদ আল-আসিরিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে ১৫ সদস্যের সমঝোতাকারী একটি দলের প্রধান হিসেবে ইস্তাম্বুলে যান তিনি। ওই মুখপাত্র বলেছেন, আসিরিই কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন ।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে বলছে, খুনের নির্দেশদাতা এবং এ ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রসিকিউটর। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ২১ জন কর্মকর্তা বর্তমানে পুলিশি জিম্মায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।