খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের ভূমিহীন নারী লিপি বেগম। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ২০১১ সালে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে গরু পালন শুরু করেন। দুই বছরের মধ্যে ২০ হাজার টাকায় সেই গরু বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। এরপর তিনি ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি গাভী কেনেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একটি বাছুর দেয় গাভীটি।
এখন এই গাভী প্রতিদিন যে দুধ দেয় তা থেকে ছেলেমেয়ে খাওয়ার পর বাকিটা বাজারে বিক্রি করে একশ’ টাকা পান। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ঋণের সব টাকা পরিশোধ হবে। এতে তার সম্পদ হবে এই গাভী ও বাছুর। সব মিলিয়ে এখন অনেকটাই সচ্ছল তিনি। ভবিষ্যতে গাভীর পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালন করে আর্থিক মুক্তির স্বপ্ন দেখছেন তিনি ও তার পরিবার।
শুধু লিপি বেগমই নন এই প্রকল্পের ফলে এমন সুখের বাতাস বইছে জেলার
অনেক পরিবারে। খুলনার নয়টি উপজেলায় ২০০৯ সাল থেকে চলছে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প। গ্রামের হতদরিদ্র মানুষকে অথনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’। জেলায় এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে। ২০১০ সালে ৬৮ ইউনিয়নে বিনামূল্যে গরু, টিন ও হাঁস-মুরুগী দেয়া হয়। পরবর্তীতে সমিতির মাধ্যমে সদস্য নির্বাচন করে দুগ্ধ খামার, গবাদিপশু পালন, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, ধান উৎপাদনসহ বিভিনড়ব কাজে ঋণ দেয়া হয়। প্রকল্পটি ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৪ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রমবার এর মেয়াদ ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।-বাসস